কলকাতা: আম্পানের ত্রাণ চুরি মামলায় তদন্তের গতি-প্রকৃতিতে অসন্তুষ্ট কলকাতা হাইকোর্ট। তদন্ত সংক্রান্ত রিপোর্টকে ‘আইওয়াশ’ বলে মন্তব্য করল ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতে জমা দেওয়া তদন্ত রিপোর্ট গ্রহণ করলেন না ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল। এই মামলায় পুনরায় রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে৷
আরও পড়ুন- ফেব্রুয়ারিতে সিপিএমের রাজ্য সম্মেলন কলকাতায়
এই মামলার শুনানির সময় বিচারপতি বলেন, অভিযোগের ক্ষেত্রে উপযুক্ত ধারা প্রয়োগ করা হয়নি। তাছাড়া অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্তকারী অফিসাররা কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না কেন? পাশাপাশি সেই প্রশ্নও তোলে আদালত।প্রসঙ্গত, উত্তর ২৪ পরগনা জেলাশাসক ও ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে ২ কোটি টাকার আম্পান ত্রাণ সরঞ্জাম দেওয়া হয়েছিল। আবেদনকারীর অভিযোগ, ঘোড়ারাস কুলীন গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য ও উপপ্রধান ওই সরঞ্জাম ব্যক্তিগতভাবে একটি গুদামে মজুত করে রাখেন। চলতি বছরের ২ জুন ওই সরঞ্জাম ট্রাকে করে পাচার করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু স্থানীয় মানুষের তৎপরতায় তা ধরা পড়ে যায়৷ এর পর মাটিয়া থানার পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে এই মামলায় অভিযোগ দায়ের করে৷
আরও পড়ুন- ‘বাংলা শেখারা জন্য দিলীপ ঘোষকে বর্ণপরিচয় উপহার দেব’, খোঁচা বাবুলের
অভিযোগ, এর পরেও ৬ জুন ফের ওই গুদাম থেকে আম্পানের বাকি ত্রাণ সামগ্রী পাচার করার চেষ্টা করা হয়৷ কিন্তু স্থানীয় মানুষ ফের তিনটি ট্রাক ধরে ফেলেন। ওই দিনই মাটিয়া থানায় পুনরায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগ, এই মামলায় ৪০৯ ধারা দেওয়া হয়নি। এর পরেই জৈনিক স্বপন কুমার কর্মকার কলকাতা হাইকোর্টে বিষয়টি নজরে এনে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় আজকে সরকারের পক্ষ থেকে রিপোর্ট জমা দিতে গেলে সেই রিপোর্ট নিতে অস্বীকার করে ডিভিশন বেঞ্চ। হাইকোর্টের নির্দেশ, তদন্তের গতি প্রকৃতি জানিয়ে ২৭শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে পুনরায় তদন্ত রিপোর্ট জমা করতে হবে রাজ্য সরকারকে৷