কলকাতা: সিপিএমের ২৬ তম রাজ্য সম্মেলন হবে কলকাতায়। পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি অনুমোদন দিয়েছে। সম্মেলনের সম্ভাব্য তারিখ, ২০২২ এর ১৯-২১ ফেব্রুয়ারি।
পুরান নেতৃত্বকে সরিয়ে রেখে তরুণ নেতৃত্বেকে সামনে এগিয়ে নিয়ে আসতে চাইছে সিপিএম। সিপিএম পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিমান বসু। পার্টির সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি সভায় উপস্থিত ছিলেন।
এদিনের বৈঠকে পার্টির সম্মেলন প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়। রাজ্য সম্পাদক সূর্য মিশ্র সম্মেলনের মাধ্যমে পার্টিকে পুনর্গঠিত করার আহ্বান জানান। সংগ্রাম গড়ে তুলতে সক্ষম পার্টি গঠন করার লক্ষ্যে সর্বস্তরে সক্রিয় নেতৃত্ব গড়ে তোলার কথা বলে তিনি বলেছেন, পার্টিতে তরুণতর অংশকে নেতৃত্বে নিয়ে আসার প্রক্রিয়া দৃঢ়তার সঙ্গে চালাতে হবে। রাজ্য কমিটির সদস্যরা তাঁদের আলোচনার সময়ে জেলাগুলির অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে বলেছেন, নির্বাচনী বিপর্যয় সত্ত্বেও শাখার সম্মেলনে প্রাণবন্ত আলোচনা হচ্ছে। হতাশার মনোভাব নয়, এগিয়ে যাবার ইচ্ছাই প্রতিফলিত হচ্ছে।
পার্টির সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, পার্টির স্বাধীন শক্তির বিকাশ ঘটাতে হবে। কিন্তু শুধু স্বাধীন শক্তি থাকলেই রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ করা যায় না। পার্টিকে রাজনীতিতে সমৃদ্ধ করা প্রয়োজন। তার জন্য প্রয়োজন নিষ্ক্রিয়তামুক্ত পার্টি। জনগণের সঙ্গে সক্রিয় সম্পর্ক রয়েছে এমন নেতৃত্বই পারে পরিবর্তনশীল পরিস্থিতিতে হস্তক্ষেপ করতে। বাংলার কমিউনিস্ট আন্দোলনের ইতিহাস প্রমাণ করেছে নির্দিষ্ট দাবির ভিত্তিতে নির্দিষ্ট আন্দোলন পার্টিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। এদিন সূর্য মিশ্র বলেন, সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা ২৭সেপ্টেম্বর ভারত বন্ধের ডাক দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে ওইদিন সর্বাত্মক সাধারণ ধর্মঘট হবে। জনগণের সমস্ত অংশকে এই ধর্মঘটে শামিল করতে এখনই প্রচার তুঙ্গে তুলতে হবে। কোনো বাধা এলে তার মোকাবিলা করেই এই ধর্মঘট হবে।
রাজ্য কমিটির বৈঠকেও একটি কথা আলোচনা শুরু হয়েছে। যা খবর, সিপিএম নতুন নেতৃত্বকে সামনে আনতে চলেছে। কাল চুলের নেতৃত্বে। সাদা মাথার পিছনের এমন নেবেন। রাজ্য কমিটিতে বদল হয়েছে। রাজ্য কমিটির বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের শীর্ষ নেতৃত্বকে দীর্ঘ সমালোচনা করেছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। শোনা যাচ্ছে, তিনি নাকি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, পুরানো নেতারা সরে দাঁড়ান। নতুনদের সুযোগ করে দিন। রাজ্য কমিটি থেকে শুরু করে সমস্ত কমিটিতে সর্বোচ্চ কত বয়স পর্যন্ত নেতারা থাকতে পারবেন, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন ইয়েচুরি।