কলকাতা: ঠাকুরনগরের সভা থেকে সিএএ নিয়ে তিনি কী বার্তা দেন আজ গোটা বাংলায় নজর ছিল সে দিকে৷ সিএএ নিয়ে বার্তা দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ৷ জানালেন করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই সিএএ বা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন লাগু হবে৷ নাগরিকত্ব পাবেন মতুয়ারা৷
আরও পড়ুন- ‘যতক্ষণ না আপনাকে হারাচ্ছি, বারবার ঠাকুরনগরে আসব’, মমতাকে চ্যালেঞ্জ শাহের
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দলিত সমাজের জন্য নরেন্দ্র মোদী সরকার অনেক কাজ করেছে৷ কিন্তু আজও মতুয়া ও নমশুদ্র সমাজ কাস্ট সার্টিফিকেট পায়নি৷ ৭০ বছর ধরে তাঁদের জন্য কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি৷ মতুয়ারা নাগরিকত্ব পায়নি৷ সেই অপমানের হাত থেকেই তাঁদের মুক্তি দিয়ে যোগ্য সম্মান দেবে কেন্দ্রের সিএএ আইন৷
অমিত শাহ বলেন, মতুয়া ও নমশুদ্র সমাজের বহু মানুষ বাংলাদেশ থেকে শরণার্থী হয়ে এ দেশে এসেছিলেন৷ ৭০ বছর হয়ে গেল ওঁনারা না পেয়েছেন নাগরিকত্ব, না পেয়েছেন সম্মান৷ দেশভাগের সময় কথা দেওয়া হয়েছিল হিন্দু শরণার্থীরাদের ভারতে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে৷ সম্মান দেওয়া হবে৷ কিন্তু সে কথা রাখা হয়নি৷ তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়নি৷
তিনি বলেন, ‘‘২০১৮ সালে আমরা কথা দিয়েছিলাম ২০১৯ এ নরেন্দ্র মোদী সরকার ফের ক্ষমতায় এলে নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করে আইন আনা হবে৷ যে আইন মতুয়া সমাজের ভাইবোনেদের নাগরিকত্ব দেবে৷ ২০১৯ এ মতুয়া সমাজ আমাদের ঝুলি পদ্মে ভরিয়ে দিয়েছিল৷ মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর এক মুহূর্ত বিলম্ব করা হয়নি৷ সিএএ আইন নিয়ে আসা হয়েছে৷ তবে করোনার জেরে এই আইন লাগু করতে বিলম্ব হচ্ছে৷
আরও পড়ুন- পুলিশি ‘অত্যাচারের’ বিরোধ, ১২ ঘণ্টার বনধের ডাক বামেদের
তিনি আরও বলেন, এই পরিস্থিতিতে হাতিয়ার করে মমতা দিদি বলতে শুরু করেছেন বিজেপি মিথ্যে প্রতিশ্রুতি৷ কাউকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না৷ আর দেওয়া হলেও আমরা করতে দেব না৷ শাহের পাল্টা প্রশ্ন, ‘‘দিদি এটা সংসদে পাশ হওয়া আইন। সেই আইনকে কী ভাবে বাধা দেবেন?’’ বিজেপি যা বলে তাই করে৷
আমরা সিএএ আইন এনেছি৷ অমিত শাহ বলেন, ‘‘প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি টিকাকরণের কাজ শেষ হতেই আপাদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কাজ শুরু করে দেবে বিজেপি৷’’ এটা দেশের সংসদের আইন৷ কেই কুতে পারবে না৷ আর ভোটের পর আমাদের রোখার পরিস্থিতিতেও থাকবেন না মমতা দিদি৷ কারণ এপ্রিল মাসের পর ওঁনাকে বিদায় জানাবে মানুষ৷ বিজেপি সরকার একদিকে অনুপ্রবেশকারীদের রুখবে অন্যদিকে শরণার্থীদের যোগ্য সম্মান দিয়ে সাদরে গ্রহণ করে নেবে৷
তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেস, বাম, তৃণমূল সাধারণ মানুষকে উস্কাচ্ছে৷ সংখ্যালঘু ভইবোনদের বলা হচ্ছে আপনাদের নাগরিকত্ব চলে যাবে৷ তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেন, সিএএ আইনে কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার বিধান নেই৷ আপনাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে না৷ যাঁরা ৭০ বছর ধরে এখানে অপমানিত হচ্ছেন তাঁদের সম্মান দেবে সিএএ৷