কলকাতা: ছাত্র-যুব সংগঠন সমূহের আহ্বানে নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে বিনা প্ররোচনায় পুলিশ প্রশাসনের নির্মম লাঠিচার্জ, ক্যাঁদানে গ্যাস,জলকামান হামলার বিরুদ্ধে এবং উপর্যুপরি মহিলা সমাবেশ, প্যারাটিচার, টেট, মাদ্রাসা শিক্ষকদের উপর কাপুরুষোচিত আক্রমণের বিরুদ্ধে দোষী পুলিশ কর্মীদের শাস্তির দাবীতে আগামীকাল ১২ ফেব্রুয়ারি সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্য্যন্ত রাজ্যজুড়ে সর্বাত্মক হরতাল ও ধর্মঘট আহ্বান করেছে বাম ও সহযোগী ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক দলসমূহ।
বাম ও বাম সহযোগী দলসমূহের পক্ষ থেকে বিমান বসু বিবৃতি প্রকাশ করে বলেছেন, শিক্ষার উন্নয়ন ও কাজের দাবিতে যে নবান্ন অভিযানের কর্মসূচী ছিল তাকে চারিদিক থেকে ঘিরে খানিকটা জালিয়ানওয়ালাবাগের মতো অবস্থা তৈরি করে তৃণমূল সরকারের পুলিশ বাহিনী। আরও জানান হয়েছে, এই পুলিশি হামলায় দেড়শোর বেশি ছাত্রছাত্রী ও যুবকযুবতী আহত হয়েছেন। অনেকের আঘাত গুরুতর। এই ঘটনার প্রতিবাদেই রাজ্য বামফ্রন্ট ও বাম সহযোগী দলসমূহের পক্ষ থেকে আগামীকাল শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১২ ঘন্টার রাজ্যব্যাপী হরতাল ধর্মঘটের আহবান জানানো হয়েছে। এই হামলা প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম বলেন, জারাই আওয়াজ তুলছে, দুর্নীতির দিকে, সরব হচ্ছে এই বলে যে, জাত নয়, ভাত চাই, তাদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে এই হামলা করা হচ্ছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, বিক্ষোভকারীদের ওপর ব্লিচিং মেশানো জল দেওয়া হয়েছে, এক্সপায়ার করে যাওয়া কাদানে গ্যাস ছোড়া হয়েছে যাতে ক্ষতি বেশি হয়। সেলিমের স্পষ্ট দাবি, পরিকল্পিত এই ঘটনার দায় রাজ্য সরকারের। আহতদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে তাদের এবং যাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের ছাড়তে হবে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, আজকের ঘটনায় আহত হয়েছেন ৬৩ জন, তাদের মধ্যে গুরুতর ২।
সকাল থেকেই বাম সংগঠনের ডাকা নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়েছে শহর কলকাতা। কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল ডরিনা ক্রসিং এলাকা। বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযোগ, তারা মিছিল থেকে ফুটবল, কমলালেবু, ইট এই সমস্ত ছুড়ছে। পাল্টা বেধড়ক লাঠিচার্জ করে পুলিশ। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি ব্যাপক উত্তপ্ত হয় গোটা এলাকা জুড়ে।