কলকাতা: প্রধানমন্ত্রীর ডাকে ব্রিগেডমুখী রাজ্যের মানুষ। কলকাতার জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী কী বার্তা দেন, তা শোনার অপেক্ষায় রয়েছে গোটা বাংলা৷ ভোটের আগে বারবার বাংলার মাটিতে আসছেন সর্বভারতীয় নেতারা৷ সেই জোয়ারেই আজ মোদীর ব্রিগেড৷ সাধারণ মানুষের পাশিপাশি আজ ব্রিগেড যাচ্ছেন টালিগঞ্জ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির এক ঝাঁক তারকা৷ তাঁদের মধ্যে অনেকেরই রাজনৈতিক জীবনেই আজ প্রথম ব্রিগেড৷ তাঁদের সকলের একটাই বক্তব্য, পরিবর্তনের পরিবর্তন চাই৷
আরও পড়ুন- পর্দার ‘মহাগুরু’ও ছিলেন চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে! ‘ফুল’ বদলে ফের রাজনীতিতে
এদিন ব্রিগেড যাওয়ার আগে অভিনেত্রী অঞ্জনা বসু বলেন, ‘‘আমরা সকলেই উচ্ছ্বসিত৷ আমরা সোনার বাংলা গড়তে চলেছি৷ ভোটের দিন ঘোষণা হওয়ার পর এটাই মোদীজির প্রথম সভা৷ আমরা তো যাবই৷ আমার ধারণা প্রচুর সাধারণ মানুষ আসবেন৷ আমরা খুবই আশাবাদী৷’’
অভিনেত্রী রূপা বলেন, ‘‘নানা প্রান্ত থেকে মানুষ আসছেন৷ তাঁরা সকলেই এই বাংলার, ভারতের নাগরিক৷ বাংলার ভালোমন্দের সঙ্গে তাঁরা জড়িয়ে আছেন৷ আমরাও এই বাংলার নাগরিক, ভারতের নাগরিক৷ বাংলার ভালোমন্দের সঙ্গে আমরাও জড়িত৷ নরেন্দ্র মোদীজি সোনার বাংলার বার্তা নিয়ে আসছেন৷ ভারতীয় জনতা পার্টির হাত ধরে আমরা সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখছি৷ যেখানে আমরা শান্তিতে থাকব৷ সরকারি কোনও অনুদানের ভরসায় নয়, নিজের শ্রমের বিনিময়ে নিয়েৎ উপার্জিত অর্থে শান্তিতে খাব৷’’
আবার অনিন্দ বলেন, ‘‘ভবিষ্যতের বাংলা কেমন হবে, সেই রূপরেখাটা আজ প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আমরা শুনতে পারব৷’’ অপর এক অভিনেত্রীর কথায়, ‘‘পরিবর্তনের পরিবর্তন হতে চলেছে৷ সেটার সাক্ষী থাকব৷ আজকের দিনটা ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে৷ আমরা তার অংশ হতে চলেছি৷’’
আরও পড়ুন- মোদীর ব্রিগেডের আগে শহরজুড়ে পোস্টার যুদ্ধ বিজেপি-তৃণমূলের
অভিনেত্রী রূপাঞ্জনা বসুর কথায়, ‘‘এই অভিজ্ঞতা সত্যই খুব ভালো৷ ২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার গঠনের চার বছরের মধ্যে অধঃপতনও দেখেছি৷ দেখেছি, ইন্ডাস্ট্রির কলাকুশলীরা কী ভাবে পিছিয়ে যাচ্ছে৷ ২০১৯ সালে সকলে সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলাম৷ ২০১৯ থেকেই পরিবর্তনের আশা আমাদের মনে৷ নরেন্দ্র মোদীজির আশীর্বাদ পেলে আমরা ধন্য হব৷’’