কলকাতা: বাংলায় জয়ের পর ত্রিপুরায় শুরু খেলার প্রস্তুতি৷ কিন্তু ত্রিপুরার ম্যাচে তাঁর ভূমিকা কি? সেই প্রশ্নের জবাবে নিজেকে লাইন্সম্যান বলেই উল্লেখ করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু৷ নিজেকে মাঠের বাইরে রেখেই ব্রাত্যর কথায় মমতা হলেন মারাদোনা আর অভিষেক হলেন মোসি৷ ত্রিপুরা দখলের খেলায় মিলিয়ে দিলেন দুই প্রজন্মকে৷
আরও পড়ুন- ‘দারুণ আলোচনা হয়েছে’, মমতা সাক্ষাতের পর বললেন সুস্মিতা
এদিন ব্রাত্য বসু বলেন, ‘‘আমার ব্যাটে রানের খরা চলছে, তেমনটা কখনই বলিনি৷ তবে আমি চার-ছয়ের বদলে সিঙ্গেল নিতেই বেশি পছন্দ করি৷ নন্দীগ্রাম, সিঙ্গুর আন্দোলনরে সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে রাজনীতিতে এসেছিলাম৷ ২০১১ সালে প্রথম ভোটে দাঁড়াই৷ রাজনীতিতে উচ্চাশী নই৷ তবে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করব৷ আর তৃণমূলই করে যাব৷’’
তবে নিজেকে লাইন্সম্যান আখ্যা দিয়ে চর্চার কেন্দ্র বিন্দুতে চলে এসেছেন শিক্ষামন্ত্রী৷ কেন নিজেকে লাইন্সম্যান বলে উল্লেখ করলেন তা নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে রাজনীতির কারবারিরা৷ তবে তিনি যে খেলা চালিয়ে যাওয়ার নেপথ্য কারিগড় হিসাবেই নিজেকে রাখছেন, তা নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই৷ শুধু ত্রিপুরায় নয়, উত্তরপ্রদেশেও তিনি থাকবেন নেপথ্য ভূমিকাতেই৷
দিল্লি জয়ের আগে তৃণমূলের নজর এখন ত্রিপুরায়৷ উত্তর পূর্বের এই রাজ্য জয়ে অন্যতম সেনা ব্রাত্য বসু৷ ত্রিপুরা নিয়ে তাঁর মত, ‘‘সেখানে যাঁরা আছেন, তাঁরা পিচের এতটাই ক্ষতি করেছেন যে, এখন শুধু উইকেট পড়ার অপেক্ষা৷’’ সে রাজ্যে না আছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নমূলক প্রকল্প৷ না আছে কেন্দ্রীয় সরকার আয়ুষ্মান ভারত৷ সে রাজ্যে উন্নয়ন নয়, বিরোধীদের প্রতি আক্রমণ ছাড়া আর কিছুই নেই বলেই ব্রাত্যের মত৷ তাঁর কথায়, বিজেপি’কে উচ্ছেদ করবে ত্রিপুরার ভূমিপুত্ররাই৷