‘কালাজ্বর’ আতঙ্ক ফিরছে বাংলায়? একাধিক জেলায় আক্রান্তের খোঁজ

‘কালাজ্বর’ আতঙ্ক ফিরছে বাংলায়? একাধিক জেলায় আক্রান্তের খোঁজ

কলকাতা: করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কের কোনও শেষ নেই। বিগত কয়েক দিনে আবার সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেয়েছে বাংলায়। মৃত্যুও হচ্ছে একাধিক। এরই মাঝে আবার বঙ্গে ফিরে এল ‘কালাজ্বর’ আতঙ্ক। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে বাংলার ১১ জেলায় ৬০-এর ওপর আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। যা রীতিমতো আতঙ্ক বাড়িয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। এও জানান হয়েছে যে, আগামী দিনে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

আরও পড়ুন- একাধিক শব্দ ‘নিষিদ্ধ’ করল সংসদ, কী কী আছে তালিকায়

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর মিলেছে, রাজ্যের ১১ টি জেলায় কমপক্ষে ৬৫ জন এখনও পর্যন্ত কালাজ্বরে আক্রান্ত হয়েছে। এক সময় ছিল এই রোগ বাংলায় আর দেখা যেত না। কিন্তু অনুমান করা হচ্ছে যে সেই রোগের প্রকোপ ফের বাড়তে শুরু করেছে। যারা আক্রান্ত হয়েছে বলে খবর তাদের ওপর নজর রাখা হচ্ছে এবং তাদের সংস্পর্শে যারা ছিলেন তাদের খোঁজও চালানো হচ্ছে। মূলত স্যাঁতস্যাঁতে মাটির বাড়ি, মেঝেতে বা দেওয়ালে বেলে মাছির ডিম থেকে এই রোগ ছড়ায়।

আরও পড়ুন- ভারতের অর্ধেকের বেশি জনসংখ্যা এখনও ৩০ বছরের নীচে!

এই রোগ হলে চামড়া শুকিয়ে যায়, রক্তাল্পতা দেখা দেয়। প্রায় ১৪ দিন মতো জ্বর থাকে। তাই এই রোগের প্রকোপ যাতে না বাড়ে সেই কারণে বাড়ির শৌচালয় নিয়মিত পরিষ্কার, পরিছন্ন রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আপাতত যা খবর তাতে সবথেকে বেশি এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে মালদহে। এছাড়াও দার্জিলিং, বাঁকুড়া সহ একাধিক জেলায় এই রোগের সন্ধান মিলেছে। তবে এখন হঠাৎ করে এই রোগের প্রকোপ দেখা দিতে শুরু করল কেন? বিশেষজ্ঞরা কিন্ত এর জন্য করোনা ভাইরাসকেই দায়ী করছেন। আবার এও মনে করা হচ্ছে, মূলত বিহার বা ঝাড়খণ্ড থেকে দীর্ঘ সময় কাটিয়ে আসা রোগীদের থেকে বাংলায় এই প্রকোপ বাড়ছে।  

আসলে করোনা ভাইরাসের বাড়বাড়ন্তের ফলে অন্য অনেক রোগ এবং তার উপসর্গ নিয়ে আলোচনা কমে গিয়েছে। বলা যায়, এক রোগের আতঙ্কের কারণে অন্য রোগের কথা ভুলে গিয়েছে মানুষ। সেই কারণেই নজরদারির কিছুটা ঘাটতি হওয়ায় আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চলেছে এই ‘কালাজ্বর’। তবে কিছু উপসর্গ থাকলে এই রোগ খুব দ্রুত নির্ণয় করা সম্ভব বলেও জানান হয়েছে। জ্বর, রক্তাল্পতা ছাড়াও উপসর্গগুলি হল, লিভার বড় হয়ে যাওয়া, খিদে কমে যাওয়া, বমি বমি ভাব। তাই এই ধরণের উপসর্গ ধরা পড়লে সকলে তাড়াতাড়ি চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × 4 =