কলকাতা: মানষের কাছে পৌঁছতে নয়া কৌশল বিজেপি’র৷ চা চক্রে পুরস্কারের টোপ গেরুয়া শিবিরের৷ কুপোন বিলি করে লাকি ড্র-এর মাধ্যমে বিজেতাকে বেছে নিয়ে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হল পুরস্কার৷ এদিন যোধপুর পার্কে দিলীপ ঘোষের চায়ের আসরে দেখা গেল সেই ছবি৷
আরও পড়ুন- সরস্বতী পুজোয় ‘টুম্পা সোনা’ গানে উদ্দাম নাচ পড়ুয়াদের, তুমুল বিতর্কে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
এদিন যোধপুর পার্কে চা চক্রে এসে লাকি ড্রয়ের মাধ্যমে বিজয়ীদের হাতে নিজে পুরস্কার তুলে দিলেন বঙ্গ বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ তাঁর অনুষ্ঠানের আগে সেখানে কুপোন বিলি করা হয়৷ কুপোনের একদিকে লেখা রয়েছে, ‘বদল হবে, হাল ফিরবে, এবার ২০০ পার৷’’ উল্টো পিঠে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মানচিত্র এবং দিলীপ ঘোষের চা চক্রের ছবি৷ পুরস্কারের প্যাকেটে ছিল বিজেপি’র প্রতীক৷ প্যাকেটের রং ঠিল গেরুয়া৷
এদিন এক পুরস্কার বিজয়ী বলেন, ‘‘আমরা তো পুরস্কার পাওয়ার জন্য এখানে আসিনি৷ এসেছিলাম দিলীপ ঘোষের বক্তব্য শোনার জন্যে৷ কিন্তু এখানে এসে দেখি কুপোন বিলি করা হচ্ছে৷ লাকি ড্রয়ে পুরস্কার জিতেছি৷ একটি লাইট পেয়েছি আমি৷’’ এদিন বিজয়ীদের বিভিন্ন ধরনের লাইট উপহার দেওয়া হয়৷ তবে বিজপি’র এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে৷ যদিও এই বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি দিলীপ ঘোষ৷
এদিন দিলীপ ঘোষের এই চক্রের অনুষ্ঠানে কোও রকম করোনা বিধি ছিল না৷ পুরস্কার নিতে রীতিমতো হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছিল৷ এদিন বিজেপি’র এই কর্মকাণ্ড নিয়ে জল ঘোলা হতে শুরু করেছে৷ তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের দাবি, বিজেপির জনসভা হোক বা বৈঠক, কোথাও লোক হচ্ছে না। তাই পুরস্কারের টোপ দিয়ে মানুষ ডাকছে৷ এতটাই নিচু স্তরে নেমে গিয়েছে বিজেপি৷
আরও পড়ুন- ‘‘চান্দা জীবী হওয়ার চেয়ে আন্দোলনজীবী হওয়া ভালো’, নমোকে বিঁধে ‘রাম’ খোঁচা মহুয়া মৈত্রর
একইসঙ্গে বিজেপিকে একহাত নিয়ে তাদের ‘সার্কাস পার্টি’ হিসেবেও কটাক্ষ করেছেন কুণাল৷ তবে বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি দিলীপ ঘোষ। লাকি ড্রয়ের উদ্যোক্তাকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, যাঁরা চা-চক্রে যোগ দিয়েছিলেন তাঁদের সকলকে কুপন বিলি করা হয়েছে। লাকি ড্রয়ের মাধ্যমে বিজেতাদের বেছে নেওয়া হয়েছে৷ সকলকে আলো বিলি করা হচ্ছে। এর পরেই অবশ্য কিছুটা বিরক্তি প্রকাশ করেন তিনি৷