কলকাতা: নজরে একুশ৷ বাংলার মাটি দখলই এখন বিজেপি’র কাছে পাখির চোখ৷ বঙ্গ বিধানসভা ভোটে পদ্ম ফোটাতে বারবার বঙ্গ সফরে আসবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপি’র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা৷ আসবেন প্রথমসারির আরও কিছু নেতা৷ বিজেপি’র এক শীর্ষ নেতার কথায়, ‘‘শুধু নাড্ডা বা শহ নন, বঙ্গে আসবেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ তবে তাঁর আসার দিনক্ষণ এখনও চূড়ান্ত হয়নি৷’’
আরও পড়ুন- মুখের কাছে চটি ধরতেই বলল ‘তোলাবাজ ভাইপো’! ওর লজ্জা হয় না? প্রশ্ন সৌগতর
ওই নেতা আরও জানান, নতুন বছরের গোড়া থেকেই বাংলায় কেন্দ্রীয় নেতা মন্ত্রীরা আসতে শুরু করবেন৷ ইতিমধ্যেই বাংলায় এসে সংগঠনের কাজ খতিয়ে দেখেছেন বিজেপি’র সর্বভারতীয় মহিলা মোর্চার সভানেত্রী ভিনিতা শ্রীনিবাসন৷ তিনি মূলত দক্ষিণবঙ্গের প্রচারের দায়িত্বে থাকবেন বলে দলীয় সূত্রে খবর৷ কাজ করবেন মহিলাদের নিয়ে৷ উত্তরবঙ্গের প্রচারে থাকবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ সিং প্যাটেল৷ মঙ্গলবারই তিনি বাংলায় পৌঁছে গিয়েছেন বলে খবর৷ চা-চক্রের মাধ্যমে গৃহ সম্পর্ক তৈরির কাজ শুরু করবেন তিনি৷ চলতি সপ্তাহেই আসবেন উত্তরপ্রদেশের উপ–মুখ্যমন্ত্রী কেশবচন্দ্র মৌর্য৷ উল্লেখযোগ্য বিষয় হল এই প্রথম পশ্চিমবঙ্গের ২৯৪টি কেন্দ্রের জন্যই ২৯৪ জন কেন্দ্রীয় নেতা মন্ত্রীকে পালা করে পাঠানো হবে৷ বিজেপি’র ইতিহাসে এমনটা আগে কখনও হয়নি৷
প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে ৪৫ জনের একটি প্রতিনিধি দল পরিদর্শন করবেন৷ সেখানকার পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখবেন তাঁরা৷ তাঁদের রিপোর্ট কার্ড দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷ গোটা প্রক্রিয়াটাই চলবে শৃঙ্খলা মেনে৷ একুশের বিধানসভায় বিজেপি’র টার্গেট ২০০ আসন৷ যদিও বিজেপি’র এই নীতি নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল নেতৃত্ব৷ সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের কথায়, ‘‘বহিরাগতদের এনে এখানে প্রচার চালাচ্ছে বিজেপি৷ রাজ্য নেতৃত্বের উপর ভরসা নেই তাঁদের’’
আরও পড়ুন- পৌষমেলায় বাধ সেধেছে কোভিড, মনখারাপ শান্তিনিকেতনের
প্রসঙ্গত, ক’দিন আগেই বঙ্গে এসেছিলেন বিজেপি’র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা৷ তাঁর কনভয়ে হামলা নিয়ে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাধে ডায়মন্ডহারবারে৷ তার পরেই দু’দিনের সফরে বাংলায় আসেন অমিত শাহ৷