মেদিনীপুর: কলেজ মাঠের সভা মঞ্চ থেকে এদিন অমিত শাহের নিশানায় ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যা৷ চাঁচাছোলা ভাষাতেই আক্রমণ শানালেন তিনি৷ দিলেন দল বলের খোঁচা৷ ২০০০-র বেশি আসনে জিতে সরকার গঠনের হুঙ্কার দিলেন তিনি৷
আরও পড়ুন- বাংলা বাঁচাতে ‘তোলাবাজি ভাইপো হঠাও’, গেরুয়া হয়েই হুংকার শুভেন্দুর
এদিন অমিত শাহ বলেন, ‘‘দিদির অভিযোগ, ভারতীয় জনতা পার্টি দল বদল করায়৷ আপনাকে স্মরণ করাতে চাই আপনি কোন দল থেকে এসেছেন? আপনি যখন কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেস বানিয়েছিলেন, সেটা কি দল বদল ছিল না? আজ শুভেন্দু অধিকারী বাংলার মানুষের উপর অত্যাচার, শোষণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে মোদীজির সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন৷ এটাকে দল বদল মনে হচ্ছে আপনার?’’ তাঁর হুঙ্কার, ‘‘এতো সবে শুরু৷ নির্বাচন আসতে আসতে আপনি একা হয়ে পড়বেন৷ বাংলায় যে সুনামি আসতে চলেছে, দিদি হয়তো সেই কল্পনাও করতে পারেননি৷’’ অমিত শাহ বলেন, ‘‘মা-মাটি-মানুষের শ্লোগান তোলাবাজি-তোষণ-ভাইপোবাদে পরিণত করেছেন মমতা। আপনি দশ কোটি বাঙালির ভবিষ্যৎ নিয়ে আপনি ভাবেন না। আপনি শুধু ভাবেন কখন নিজের ভাইপোকে মুখ্যমন্ত্রী করবেন।”
শাহ বলেন, কেন বাংলায় বিকাশ হচ্ছে না? বাংলার কৃষকরা কেন কেন্দ্রের টাকা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে? কেন আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বাংলার মানুষ? এই প্রশ্নই করতে এসেছি৷ দিদি যতদিন আছেন ততদিন কেন্দ্রের কোনও প্রকল্পের সুবিধা পাবে না বাংলার গরিব মানুষ৷
আরও পড়ুন- ‘আপনি দ্বিতীয়ই হবেন, প্রথম হতে পারবেন না’, ‘গেরুয়া’ হয়েই মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দুর
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, কেন্দ্রের পাঠানো বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আটকে দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। আপনারা বলতেন তৃণমূলকে কেউ হারাতে পারবে না৷ লোকসভা নির্বাচনে খাতাই খুলতে পারবে না বিজেপি৷ কিন্তু বাংলার মানুষ আমাদের ১৮ টা আসন দিয়েছে৷ বিধানসভা নির্বাচনে ২০০-র বেশি আসনে জিতে সরকার গড়বে ভারতীয় জনতা পার্টি৷
তোপ দেগে শাহ বলেন, “আপনি বাংলার বিকাশের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন৷ বাংলায় কোনও বিকাশ হয়নি৷ বরং বেড়েছে তোলাবাজি৷ গুণ্ডারা নিরাপদ আশ্রয় পেয়েছে৷ আপনি নিজেও উন্নয়ন করেন না, মোদিজিকেও করতে দেন না। ভাবেন, তাহলে মোদিজি বেশি জনপ্রিয় হয়ে যাবে। কিন্তু আপনি জানেন না, মোদিজি এমনিতেই বাংলার মানুষের মনের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছেন। আমাদের ৫ বছর সময় দিন, আমরা বাংলাকে ‘সোনার বাংলা’ বানাব৷”
তিনি বলেন, ক’দিন আগেই বঙ্গে এসে সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার গাড়িতে হামলা হয়েছিল৷ বড় বড় পাথর ছোড়া হয়েছিল তাঁর গাড়িতে৷ এতে আমরা ভয় পাইনা৷ ৩০০-র বেশি কর্মীর প্রাণ গিয়েছে৷ যত জোড় আঘাত করবেন, ততটাই শক্তি দিয়ে বিজেপি কর্মীরা মোকাবিলা করবে৷ আপনি কত লোক মারবেন? সারা বাংলার মানুষ আপনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রস্তুত৷