মেদিনীপুর: আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এর উপস্থিতিতে মেদিনীপুরের কলেজ মাঠে বিজেপিতে যোগ দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ার পরেই যে বক্তৃতা তিনি রাখলেন তাতে সরাসরি আক্রমণ করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এদিন মঞ্চে বক্তৃতা দিয়ে শুভেন্দু নাম না করেই মমতার উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়ে স্পষ্ট জানালেন, এবারে তিনি প্রথম হতে পারবেন না, দ্বিতীয় হয়েই থাকতে হবে! একইসঙ্গে শুভেন্দুর বক্তব্য, তিনি মাতব্বরি করতে বিজেপিতে যোগদান করেননি, আগামীকাল থেকেই মানুষের হয়ে কাজ করা শুরু করে দেবেন তিনি।
এদিন সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে প্রাক্তন দল তৃণমূল কংগ্রেসকে একের পর এক আক্রমণ করেন শুভেন্দু অধিকারী। বক্তব্যের শুরুতেই তিনি জানান, করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার পর যে দলের হয়ে তিনি এতবছর ধরে কাজ করে এসেছেন সেই দলের কেউ তার খোঁজ নেননি। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তাঁর খোঁজ নিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে তাঁকে নিজের দাদা বলে সম্বোধন করেন শুভেন্দু অধিকারী। তারপর শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য থেকে একের পর এক শ্লেষ এবং ক্ষোভ বেরিয়ে আসে। শুভেন্দু অধিকারী জানান, যে দলের হয়ে এত বছর ধরে তিনি কাজ করে এসেছেন এখন সেই দলের থেকে তাঁকে বিশ্বাসঘাতক বলা হচ্ছে। শুভেন্দুর কথায়, তৃণমূল কংগ্রেসের অনেকে বলছেন মায়ের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা হয়েছে। কিন্তু তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তাঁর নিজের মা ছাড়া আর কেউ তার কাছে মায়ের সমান নয়। সুতরাং তিনি অন্য কারোর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেননি। এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে শুভেন্দু নাম না করে তৃণমূল নেত্রীকে স্পষ্ট বার্তা দিয়ে জানিয়েছেন, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তিনি দ্বিতীয় হয়ে থাকবেন, প্রথম কিছুতেই হতে পারবেন না। কারণ প্রথম হবে ভারতীয় জনতা পার্টি।
শুভেন্দু অধিকারী আরো বলেন, বহুদিন আগেই মুকুল রায় তাকে বলেছিলেন আত্মসম্মান থাকলে তৃণমূলে না থাকতে। এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু জানান, তৃণমূল কংগ্রেসে এখন সত্যিই আত্মসম্মান নেই, কেউ আত্মসম্মান নিয়ে থাকতে পারে না কারণ সেখানে ব্যক্তি স্বার্থের সুবিধা দেখা হয়। শুভেন্দুর স্পষ্ট কথা, চুদামাল কংগ্রেসের না আছে সম্মান, না আছে বিশ্বাস। তাই যেখানে এসব কিছুই নেই সেখানে তিনি থাকবেন না।