কলকাতা: তখন প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হয়নি, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই শুভেন্দু অধিকারী হুঁশিয়ারি দিয়ে এসেছেন যে নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী হলে তাঁকে তিনি হাফ লক্ষ ভোটে হারবেন। এবার প্রার্থী ঘোষণার পর দেখা গিয়েছে নন্দীগ্রামের সম্মুখ সমরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শুভেন্দু অধিকারী। তবে এবার আর শুধুমাত্র হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন না শুভেন্দু, সরাসরি আবেদন জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মনোনয়ন বাতিল করার! তাঁর অভিযোগ ছিল, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ৬ টি মামলা রয়েছে, কিন্তু হলফনামায় সেটি লুকিয়ে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দু অধিকারীর এই দাবি নিয়ে এবার নির্বাচন কমিশনে গিয়েছিল বিজেপির প্রতিনিধি দল। তবে লাভ হয়নি কিছুই।
নির্বাচন কমিশনের যাবার পর বিজেপি প্রতিনিধি দলের অভিযোগ, তাদের বক্তব্যকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি এবং অভিযোগ পত্রকে গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়নি। এই প্রেক্ষিতে তাদের বক্তব্য, প্রার্থী যেহেতু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই কারণে হয়তো গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। এর পেছনে কোনো রকম ভয় কাজ করতে পারে। কিন্তু যে অভিযোগ জানানো হয়েছে সেই অভিযোগ একবার খতিয়ে দেখা উচিত ছিল বলে মত তাদের। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে শুভেন্দু অধিকারী যে অভিযোগ জানিয়েছেন তাতে চাঞ্চল্যকর মোড় দেখা দিয়েছে। অধিকারীর অভিযোগ ছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে হলফনামা পেশ করেছেন সেখানে তাঁর বিরুদ্ধে থাকা ছ’টি মামলার কথা উল্লেখ করা হয়নি৷ শুভেন্দুর অভিযোগের ভিত্তিতে আরসি০২২/২০০৮ এই মামলা সম্পর্কে তথ্য সন্ধান করতে গিয়ে যানা যায়, এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী নন৷ তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের এক গ্রুপ ডি স্টাফের স্ত্রী৷ আজ নির্বাচন কমিশনে পাঠানো চিঠির ৬ নম্বর পয়েন্টে আরসি০২২/২০০৮ নম্বরে যে মামলার অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী, সেই মামলার সঙ্গে জড়িত নন মুখ্যমন্ত্রী৷
আরও পড়ুন- দিনরাত কাজের পর হাজার টাকা ভাতা! কমিশনের উপর ক্ষুব্ধ ভোট কর্মীরা
সিবিআই সূত্রে খবর, দুর্গাপুর জোনে কর্মরত কেন্দ্রীয় সরকারের এক গ্রুপ ডি স্টাফের বিরুদ্ধে আয় বহির্ভূত সম্পত্তির মামলা রুজু করা হয়েছিল৷ তদন্ত করতে গিয়ে সিবিআই আধিকারিকরা দেখেন, একাধিক নামে ওই গ্রুপ ডি স্টাফের সম্পত্তি রয়েছে৷ এমনকী সম্পত্তি রয়েছে তাঁর স্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামেও৷ তাই চার্জশিটে ওই ব্যক্তির স্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামও উল্লেখ রয়েছে৷ ফলে চার্জশিটে যে নাম রয়েছে, সেটা মুখ্যমন্ত্রী নন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নামে অন্য এক মহিলার৷