দিনরাত কাজের পর হাজার টাকা ভাতা! কমিশনের উপর ক্ষুব্ধ ভোট কর্মীরা

এবার কমিশনের বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন ভোটের দীর্ঘমেয়াদী কর্মীরাও

e82621b2faeb7592f519c5687a14d64e

কলকাতা: বেজে গেছে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ভোট দামামা। নির্বাচনী নির্ঘন্ট প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই কমিশনের উদ্যোগে রাজ্যের ভোট প্রস্তুতিও প্রায় শেষ পর্যায়ে। কিন্তু ভোটের উত্তাপের মাঝে ভোট কর্মীদের অসন্তোষে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে কমিশনের কপালে।

ভোটের ডিউটি শুরু হওয়ার পর এখন চলছে ভোট কর্মী হিসেবে সরকারি কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ প্রক্রিয়া। কিন্তু ডিউটির সময়কাল, কর্মী নির্বাচন, কর্মীদের খাদ্য খাতে বরাদ্দ অর্থ প্রভৃতি একাধিক বিষয়ে কমিশনের আচরণে ক্ষুব্ধ কর্মচারী মহল। জানা গেছে ভোটের দীর্ঘমেয়াদী কাজে নিযুক্ত কর্মীরাও এবার উগরে দিয়েছে কমিশন বিরোধী ক্ষোভ। বস্তুত, ভোট সংক্রান্ত কাজ করার জন্য বেশ কিছু সরকারি কর্মীকে দীর্ঘ মেয়াদের জন্য নিয়োগ করে নির্বাচন দপ্তর। নিজেদের কাজ থেকে রিলিজ নিয়েই তাঁরা ভোটের কাজ করে থাকেন। কিন্তু প্রাপ্ত ভাতা নিয়ে অসন্তুষ্ট এই সমস্ত ভোট কর্মীরা।

সূত্রের খবর, গ্রুপ এ এবং বি শ্রেণির ভোট কর্মীদের জন্য ভাতা হিসেবে বরাদ্দ রয়েছে মাত্র ১২০০ টাকা। আর গ্রুপ সি এবং ডি শ্রেণির কর্মীদের ক্ষেত্রে এই পরিমাণ আরো কম। ভোটের ডিউটি দিয়ে মাত্র ১ হাজার টাকা বেতন পান তাঁরা। অথচ ভোটের দিন ঘোষণার পর থেকেই একটানা নানা কাজে ব্যস্ত থাকতে হয় এই সমস্ত কর্মীদের। একেবারে নির্বাচনের ফলাফল বের না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা ভোটের কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকেন। সারাদিন কাজ করার পর এই সামান্য বেতনে একেবারেই খুশি নন ভোট কর্মীরা। তাছাড়া দিন যত এগিয়ে আসছে ভোটের কাজও ততই বাড়ছে। অভিযোগ, টিফিনের জন্য কোনোরকম বরাদ্দ করা হয়নি।

ঠিক কী কী কাজ করেন এই সমস্ত কর্মীরা? মূলত ভিডিও নজরদারি, ভিডিও ছবি পর্যালোচনা, অ্যাকাউন্টস, খরচের উপর নজরদারি করার জন্য গঠিত টিম, কন্ট্রোল রুম, কল সেন্টার ইত্যাদি বিভিন্ন কাজ করতে হয় দীর্ঘমেয়াদী কর্মীদের। নির্বাচন দফতরের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, মাইক্রো অবজার্ভাররা শুধু ভোটের দিনের জন্য ১১০০ টাকা ভাতা এবং ১৭০ টাকা খাওয়া খরচ পাবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *