কলকাতা: রাজ্যে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে বিধানসভা নির্বাচনের ভোট দান পর্ব। প্রথম দফার নির্বাচনে প্রক্রিয়া নিয়ে খুশি হয়েছে বিজেপি। দাবি করা হয়েছে ৯০ শতাংশ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে। যদিও দ্বিতীয় দফা নিয়ে আরো বেশি সতর্ক হতে চাইছে তারা কারণ নন্দীগ্রামে মুখোমুখি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শুভেন্দু অধিকারী। এই প্রেক্ষিতে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে চাপ আরও বজায় রাখতে বিজেপি নন্দীগ্রামে ৪১ জনের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে নির্বাচন কমিশনে! যাদের মধ্যে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী এজেন্ট শেখ সুফিয়ান।
জানা গিয়েছে, প্রথম দফা নির্বাচনের দিনই নির্বাচন কমিশনে গিয়ে ৪১ জনের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে চিঠি দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি শিবির। সেখানে নাম রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী এজেন্ট শেখ সুফিয়ানের। এই প্রেক্ষিতে বিজেপি নেতা এবং কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় জানিয়েছেন, ১০০ শতাংশ ভোটে মানুষ যাতে নির্ভয় ভোট দিতে পারেন দ্বিতীয় দফায় তার নিশ্চয়তা দিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। সেই কারণেই এত জনের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে চিঠি লেখা হয়েছে তাদের। যাদের বিরুদ্ধে অসামাজিক কাজকর্ম জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে এবং পুরনো মামলা রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে এমন দাবি তুলেছে ভারতীয় জনতা পার্টি শিবির। পদ্ম বাহিনীর আশঙ্কা, এরা নির্বাচনের দিন অশান্তি সৃষ্টি করতে পারেন এবং সাধারণ মানুষকে ভয় দেখিয়ে ভোট প্রভাবিত করতে পারেন। এই প্রেক্ষিতে তাদের গ্রেফতারি আবশ্যক বলে দাবি করেছে তারা। যদিও কিছুদিন আগেই এক পুরণও মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি ছিল মমতার নির্বাচনী এজেন্ট শেখ সুফিয়ানের বিরুদ্ধে। যদিও সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে আপাতত স্বস্তি দিয়েছে।
আরও পড়ুন- “ভোটের পর সরকার চালাবো দিলীপ ঘোষ আর আমি”, শুভেন্দুর মন্তব্যের পাল্টা দিলেন কুনালও
শেখ সুফিয়ান অভিযোগ জানিয়েছিলেন, ভোটের কাজ থেকে বিরত করার জন্য তার বিরুদ্ধে ১৪ বছর পুরনো মামলা আবার খোলা হচ্ছে। দেশের সর্বোচ্চ আদালত ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে যে, এই মামলার শুনানি হবে হোলির পর। জানা গিয়েছে, শেখ সুফিয়ানের তরফে আবেদন করা হয়েছিল যে, তিনি নন্দীগ্রামের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী এজেন্ট হয়েছেন কিন্তু সেই হিসেবে তিনি রাজনৈতিক কাজকর্ম করতে পারছেন না এবং অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কারণ, তার বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল কেসের মামলা করা হয়েছে যে গুলি ১৪ বছরের পুরনো। পুরনো কেসে এই ভাবে নতুন করে তদন্ত শুরু হবার কারণ তাকে নির্বাচনী কাজ করা থেকে আটকানো। দাবি করা হচ্ছে নন্দীগ্রামের জমি অধিগ্রহণ ঘটনার সময়কার এই মামলা।