কলকাতা: আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে যাতে পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিরপেক্ষ থাকে সেই আবেদন জানাতে এদিন নবান্নে গেল বিজেপির প্রতিনিধি দল। মূলত মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় সঙ্গে দেখা করতেই বিজেপির এই প্রতিনিধি দল নিয়ে যায়। চারজনের এই প্রতিনিধি দলে ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়, রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত, নেতা সব্যসাচী দত্ত এবং শিশির বাজোরিয়া।
কিছুদিন আগে নবান্নে এসে বিজেপি একাধিক অভিযোগ জানায়। মূলত পোস্টাল ব্যালটে এবছর নির্বাচনে দুর্নীতি হতে পারে বলেও আশঙ্কা করে তারা। এর পাশাপাশি রাজ্যের বেশ কয়েকজন পুলিশ অফিসারের নামে তারা অভিযোগ জমা দেয় নবান্নে। এদিন ফের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন নির্বিঘ্নে ঘটানোর আবেদন জানিয়ে নবান্নে এল বিজেপির প্রতিনিধি দল। একইসঙ্গে রাজ্যের পুলিশ আধিকারিক এবং উচ্চপদস্থ আধিকারিক রা যাতে নিরপেক্ষভাবে ভোটের কাজ করেন সেই ব্যাপারেও আবেদন জানানো হয়েছে। এদিকে গতকালের শহরের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ইতিমধ্যেই বিজেপির পক্ষ থেকে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে আক্রমণ করা হয়েছে। ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের দাবি জানিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি শিবির। মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকের পর বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুকুল রায় বলেন, কথা অনেক হয়েছে, তবে রাজ্যের দাবি, ওরা ইচ্ছাকৃত কোনও ভুল করছে না। ভুল হলেও সেটা অনিচ্ছাকৃত। পাশাপাশি, রাজ্য আশ্বস্ত করতে চাইছে, ওদের তরফে যা যা দেখার তা দেখা হবে। ওদিকে, স্বপন দাশগুপ্ত জানিয়েছেন, প্রধানত তিনজন পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। যতক্ষণ না এই তিন পুলিশকর্মীকে অপসারণ করা হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত প্রশাসনের নিরপেক্ষতার উপর বিজেপির আস্থা নেই।
আরও পড়ুন- প্রার্থীর সঙ্গে দেখা করলেন না তৃণমূল জেলা সহ-সভাপতিই! কৌশানিকে ঘিরে অসন্তোষ
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় অভিযোগ তুলেছেন, গাফিলতি অবশ্যই হয়েছে এবং সেটার তদন্ত করে দেখা হবে। বহুতল গুলির পর্যবেক্ষণ এবং রক্ষণাবেক্ষণ ঠিক ভাবে করা হয়নি। এত জনের মৃত্যু সত্যিই মর্মান্তিক ব্যাপার এবং অবশ্যই দুঃখজনক ঘটনা। কিন্তু গাফিলতিতে হয়েছে তা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ইতিমধ্যে টুইট করে মমতা সরকারকে আক্রমণ করেছেন বিজেপির আইটি সেল প্রধান অমিত মালব্য।