কৃষ্ণনগর: প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পর প্রথমবার কৃষ্ণনগরে গিয়েছেন উত্তর কৃষ্ণনগরের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী তথা অভিনেত্রী কৌশানী মুখোপাধ্যায়। কিন্তু সেখানে গিয়ে চরম অসন্তোষের মুখে পড়তে হলে তাঁকে। প্রার্থী নিয়ে ক্ষোভ তো ছিলই, এদিন কৌশানির সঙ্গে দেখা করলেন না কৃষ্ণনগর পৌরসভার প্রশাসক তথা তৃণমূল জেলা সহ-সভাপতি অসীম সাহা স্বয়ং! তাঁর বক্তব্য, কৃষ্ণনগরের মানুষ তারকা প্রার্থী নিয়ে একেবারেই খুশি নয়। অতএব এই ঘটনায় ইতিমধ্যে ফের একবার তৃণমূল কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্বের ছবি প্রকাশ্যে এল।
গত শুক্রবার তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পন্ন প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছেন দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করার পর ব্যাপক অসন্তোষের ছবি ধরা পড়ে রাজ্য জুড়ে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন বিধায়ক যারা টিকিট পাননি তারা চলে গিয়েছিলেন বিজেপিতে। তাদের মধ্যে রয়েছেন সোনালী গুহ থেকে শুরু করে দীপেন্দু বিশ্বাস, রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য থেকে শুরু করে জটু লাহিড়ী। এদিকে টিকিট না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আরাবুল ইসলাম, আবার টিকিট পাওয়ার পরেও কেন্দ্র পছন্দ না হওয়ায় বিজেপিতে গিয়ে যোগ দিয়েছেন সরলা মুর্ম! এদিকে আজ উত্তর কৃষ্ণনগর তৃণমূল প্রার্থী কৌশানিকে নিয়ে ব্যাপক অসন্তোষের ছবি ধরা পড়ল। যদিও এই ঘটনায় এতোটুকু বিলম্বিত নন কৌশানি নিজে। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিয়ে বলেছেন, তিনি সবার কাছে যাবেন এবং সবাইকে নিয়ে কাজ করবেন।
আরও পড়ুন- পকেটে টাকা গুঁজে দিয়ে রাজনীতি করি না! নন্দীগ্রামে মমতা
এই অসন্তোষের ঘটনা নিয়ে জানানো হয়েছে, তারকা প্রার্থী নিয়ে কৃষ্ণনগরের মানুষের অভিজ্ঞতা একেবারেই ভালো নয়। কারণ তাপস পাল যখন এখানকার লোকসভা প্রার্থী ছিলেন তখন প্রথম পাঁচ বছর কাজ হলেও পরবর্তী পাঁচ বছর কোনো কাজ হয়নি। তবে যেহেতু প্রার্থী ঠিক করেছে তাই তার প্রচারেই কাজ করা হবে বলে জানানো হয়েছে স্থানীয় নেতৃত্বের তরফের। অন্যদিকে কৌশানি জানিয়েছেন, তাঁকে বাইরের লোক ভাবা হচ্ছে, তারকাও অন্যরা বানিয়েছেন তাঁকে। তিনি যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তা রাখতে পারবেন বলেই দিয়েছেন এবং এই বিষয়ে নিজের বাবা-মায়ের সামনেও জবাবদিহি করেন তিনি। একই সঙ্গে তাঁর বক্তব্য, সকলের কাছে দিদি সব। তাই কে প্রার্থী, সেটা হয়তো যায় আসবে না।