কলকাতা: রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখার সময় আচমকা এদিন পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী। তাঁর ইস্তফার ৬ ঘন্টাও হয়নি তার মধ্যেই তাঁকে বিজেপিতে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত গেরুয়া শিবিরের নেতারা। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ইতিমধ্যেই নতুন বাংলা এবং নতুন ভারত গড়ার ডাক দিয়ে ফেলেছেন ফের একবার। একইসঙ্গে পদ্ম বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, দীনেশ ত্রিবেদীকে স্বাগত জানাবে বিজেপি যদি তিনি দলে আসতে চান।
আরও পড়ুন: ঠিক দু’দিন আগেই মোদীর প্রশংসা দীনেশের, বিজেপিতে যাওয়া কি সময়ের অপেক্ষা?
আজ দীনেশ ত্রিবেদী ইস্তফা প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, ‘‘দীনেশ ত্রিবেদী বিজেপি’তে এলে তাঁকে স্বাগত জানানো হবে৷ উনি অনেক দিন ধরেই তৃণমূলে অস্বস্তিতে ছিলেন৷ তৃণমূলে সকলের গলা টিপে রাখা হয়৷ কেউ কোনও কথা বলতে পারবে না৷ একজন বলবেন, আর সকলকে শুনতে হয়৷ দীনেশ ত্রিবেদী সত্যি কথা বলায় ওঁনাকে পদ থেকে সরানো হয়েছিল৷’’ তবে উনি কবে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন সে সম্পর্কে তাঁর কাছে কোনও তথ্য নেই বলেই জানান অর্জুন সিং৷ বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আমি জানতাম পাপী, ভোগী, গদ্দাররা তৃণমূল ছেড়ে চলে গিয়েছে৷ শুধু ত্যাগীরাই পড়ে রয়েছেন৷ আরও একজন দল ছাড়লেন৷ তাঁর জন্য কী বিশেষণ দেওয়া হবে? এটা তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ বিষয়৷ উনি বর্ষীয়ান নেতা৷ রেলমন্ত্রী ছিলেন৷ সত্য কথা বলায় পদ থেকেও রাতারাতি সরতে হয়েছিল৷ উনি দলে আসতে চাইলে আসবেন৷’’ বঙ্গ বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘উনি মানুষের জন্য কাজ করতে চান৷ উনি দলে আসতে চাইলে আমরা স্বাগত জানাব৷ আমরা সবাইকে নিয়েই নতুন বাংলা, নতুন ভারত গড়তে চাই৷’’
আরও পড়ুন: ইস্তফা দেবেন দীনেশ, বোঝেননি সৌগত! সুখেন্দুর কটাক্ষ, ‘ঘন ঘন দমবন্ধ হলে মুশকিল’
প্রসঙ্গত, মনমোহন সিং মন্ত্রিসভায় স্বাস্থ্যপ্রতিমন্ত্রী ও পরে রেলমন্ত্রী হন দীনেশ ত্রিবেদী। এর আগে ১৯৯০-৯৬ ও ২০০২-২০০৮ পর্যন্ত রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন দীনেশ ত্রিবেদী। ১৯৯৮ সালে কংগ্রেস ছেড়ে যোগ দেন তৃণমূলে। ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে বিজেপির অর্জুন সিংয়ের কাছে হেরে যান দীনেশ ত্রিবেদী। এরপর রাজ্যসভার সাংসদ হন।