কলকাতা: মৃত্যু হয়েছে মগরাহাটের বিজেপি নেতা মানস সাহার। বিজেপি দাবি করেছে ‘ভোট পরবর্তী হিংসায়’ মৃত্যু হয়েছে তাঁর এবং এর জন্য দায়ী তৃণমূল কংগ্রেস। এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে উঠেছে। আজ আরও উঠল কারণ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে এই ইস্যুতে বিক্ষোভ দেখাল বিজেপি। মৃত নেতার দেহ নিয়ে বিক্ষোভ করল তারা। এমনকি রাস্তার ওপর দেহ রেখে দিয়ে প্রতিবাদ দেখানো হয়েছে।
আরও পড়ুন- মানুষের টাকা নিয়ে চুপচাপ বসে থাকব না! স্পষ্টবক্তা বাবুল
বিক্ষোভে সামিল ছিলেন সদ্য বিজেপি রাজ্য সভাপতি হওয়া সুকান্ত মজুমদার থেকে শুরু করে সাংসদ অর্জুন সিং। সুকান্ত বলেন, বাংলায় গণতন্ত্র লুণ্ঠিত। কিন্তু বিজেপি লড়াই চালায়ে যাবে। এও বলেন যে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধিক্কার জানাচ্ছেন। এদিক, সাংসদ অর্জুন সিংয়ের বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা নেই। যদিও তাঁদের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক তাপস রায় জানিয়েছেন, প্রচারের জন্য নতুন বিজেপির রাজ্য সভাপতি ভবানীপুরে এইসব করছেন। সবাই জানে ভবানীপুর হাই সিকিওরিটি রিস্ক জোন, এখানে মুখ্যমন্ত্রী নিজে প্রচারে ব্যস্ত। তাই ইচ্ছা করে এখানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হচ্ছে। তাঁর কথায়, সুকান্ত নিজেকে বেশি আলোয় আনার জন্যই এইসব করছেন।
আরও পড়ুন- ‘বাবুল একা নয়, এখনও কিছু বিশ্বাসঘাতক পড়ে রয়েছে,’ বিস্ফোরক তথাগত রায়
উল্লেখ্য, বিজেপি শিবির এবং মানস সাহার পরিবারের অভিযোগ, ভোটের গণনার দিন তাঁর ওপর ব্যাপক হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে। এরপরেই মাথায় গুরুতর চোট পান তিনি। তারপর থেকেই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন বিজেপি প্রার্থী। মাঝে একবার বাড়ি ফিরলেও আবার শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল তাঁকে। অবশেষে আজ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ওই একালার বিজেপি নেতৃত্ব থেকে দাবি করা হয়েছে, মগরাহাটের বর্তমান তৃণমূল বিধায়ক গিয়াসুদ্দিন মোল্লার নেতৃত্ব এলাকায় প্রায়শই হামলা হয়ে থাকে এবং পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নেয় না নিজের পদ বাঁচানোর জন্য। তারই নেতৃত্বে মানস সাহার ওপর হামলা হয়েছিল এবং তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছিল। আজ সেই কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।