‘বিজেপি রাষ্ট্রপতি শাসনের পক্ষে নয়, রাজনৈতিক হিংসা-খুন রাজ্যকে সে পথে নিয়ে চলেছে’

‘বিজেপি রাষ্ট্রপতি শাসনের পক্ষে নয়, রাজনৈতিক হিংসা-খুন রাজ্যকে সে পথে নিয়ে চলেছে’

কলকাতা: গতকাল উত্তরবঙ্গে দলীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ কিন্তু আলিপুরদুয়ারের জয়গাঁতে তাঁর কনভয়ের উপর হামলা চালানো হয়৷ পাথর ছুড়ে ভেঙে দেওয়া হয় তাঁর গাড়ির কাঁচ৷ অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কর্মীদের দিকে৷ এদিন সুর চড়িয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, বিজেপি ৩৫৬ ধারা প্রয়োগের পক্ষে নয়৷ দলের বিশ্বাস ২০২১-এর নির্বাচনে রাজ্য থেকে উপড়ে ফেলা হবে তৃণমূল সরকারকে৷ কিন্তু যে ভাবে ‘রাজনৈতিক হিংসা ও খুনে’র ঘটনা বেড়ে চলেছে, তাতে বলা যায় না পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে৷ 

আরও পড়ুন- কন্যাশ্রীর ২৫,০০০ টাকা নিয়ে বাংলাদেশের ফিরল ৩ কন্যা, সঙ্গে উপার্জনের অর্থ

এদিন রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন নিয়ে প্রশ্ন করা হলে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমরা বিশ্বাস করি গণতন্ত্রে ক্ষমতার পরিবর্তন ভোট প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়েই হওয়া উচিত৷ আমাদের নিশ্চিত হতে হবে যে জনগণ যেন শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারেন৷’’ তাঁর দাবি, রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি তুলেছে আমজনতা৷ কিছু বিরোধী দলেরও এই দাবি রয়েছে৷ যে ভাবে রাজ্যে হিংসা আর খুনের ঘটনা বেড়ে চলেছে তাতে এই দাবি ওঠা স্বাভাবিক৷ তাঁর কথায়, ‘‘একজন বিজেপি কর্মী হিসাবে আমি গর্বিত যে, আমাদের দল গণতন্ত্রের উপর আস্থাশীল৷ কোনও নির্বাচিত সরকার ফেলার পক্ষে আমরা নই৷ আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহজিও এর উপরেই জোড় দিয়েছিলেন৷ তিনি বলে গিয়েছেন, আমরা ভোটের ময়দানেই এই সরকারকে পরাজিত করব৷’’ রাজ্যের পরিস্থিতি কী, কেন্দ্রকে সেই বিষয়ে সূচিত করার জন্য রাজ্যপাল রয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি৷

আরও পড়ুন- দেওয়া হল না মেয়ের মুখেভাত, ভারত-পাক সীমান্তে শহিদ তেহট্টের জওয়ান

 
দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, ‘‘আমি পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন চাই না৷ আমরা এই নীতির পক্ষপাতি নই৷ কিন্তু যে পথে রাজ্য রাজনীতি এগিয়ে চলেছে, তাতে বলতে পারব না যে আগামী দিনে সেই পরিস্থিতি তৈরি হবে না৷’’ তাঁর অভিযোগ, বিরোধীদের বিরুদ্ধে অগণতান্ত্রিক সুলভ ব্যবহার করেছে রাজ্য সরকার৷ শুধুমাত্র তাঁর একার নামে ৪০টি মিথ্যে মামলা দেওয়া হয়েছে৷ আজকের তারিখ পর্যন্ত ১২০ জন বিজেপি কর্মী খুন হয়েছে রাজ্যে৷ দিলীপ ঘোষ বলেন, আমরা সাধারণ মানুষের মধ্যে থেকে ভয় দূর করার চেষ্টা করছি৷ ২০১৯ সালে কেন্দ্রীয় বাহিনী আসায় মানুষ নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পেরেছিল৷ এবারও মানুষ যাতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে৷            

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 − seven =