কলকাতা: একুশের ভোটের আগে রং বদল নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি৷ শুরু হয়ে গিয়েছে ঘর ভাঙার খেলা৷ দল বদলেই রণংদেহী মেজাজে রাজনীতের ময়দানে নেমে পড়েছেন শুভেন্দু অধিকারী৷ প্রতিটি সভা থেকে আক্রমণাত্মক মেজাজে শাসক দলকে বিঁধেছেন তিনি৷ কড়া ভাষায় জবাব দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আক্রমণের৷
আরও পড়ুন- পুরনো ছন্দে মদন, ছাত্রধরকে নিয়ে সভার হুঙ্কার, একহাত নিলেন বিজেপিকে
প্রসঙ্গত গতকালই খড়দহের মঞ্চ থেকে শুভেন্দু জানিয়েছিলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে বলেছেন নিজের বাড়িতে পদ্ম ফোটাতে পারিনি কী করে বাংলায় পদ্ম ফোটাব? এর জবাবে তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমার বাড়ির সদস্যরাও পদ্ম ফোটাবে৷’’ এর পরেই কাঁথি পৌরসভার প্রশাসক পদ থেকে শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীকে সরিয়ে দেয় শাসক দল৷ এড়িয়ে চলা হচ্ছে শিশির অধিকারীকেও৷ কোনও সরকারি অনুষ্ঠানে তাঁর দেখা মিলছে না৷ তিনি নিজেই সেখানে যাচ্ছে না৷ অন্যদিকে দিব্যেন্দু অধিকারীকে বলতে হচ্ছে, ‘‘আমি এখনও তৃণমূলেই আছি৷ আমন্ত্রণ পেলে দলের প্রতিটি অনুষ্ঠানেই যাব৷ ’’
এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে ‘অধিকারী গড়’ কাঁথিতে বিজেপি’র সাংগঠনিক শক্তি বাড়াতে মরিয়া শুভেন্দু অধিকারী৷ বুধবার দলের আগামী দিনের রণকৌশল ঠিক করতে বৈঠক বসেছিল তাঁর বাড়িতেই৷ আর শুভেন্দুর বাড়িতে গিয়ে তাঁর বাবা শিশির অধিকারীর সঙ্গে দেখা করলেন বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় মাহাত–সহ বেশ কয়েকজন গেরুয়া নেতা। এই সাক্ষাৎ রাজনৈতিক দিক থেকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল৷ তবে তাঁদের এই সাক্ষাৎকে সৌজন্য বলেই উল্লেখ করেছেন জ্যোতির্ময় মাহাত৷
আরও পড়ুন- বর্ষবরণ উদযাপন নিরাপদভাবে হোক চাইছে সরকার, একাধিক পরামর্শ মুখ্যসচিবের
শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি’তে যোগ দিয়েছে একাধিক নেতা৷ কিন্তু তাঁর পরিবারের বাকি সদস্যরা এখনও ঘাসফুলেই আছেন৷ এই নিয়ে আক্রমণও করা হয়েছে শুভেন্দুকে৷ যে বাড়িতে ঘাসফুল রয়েছে , সেখানে পদ্ম ফোটাতে তাঁর কি লজ্জা হয় না? ধেয়ে এসেছে এহেন কটাক্ষও৷ যদিও তাঁর মোক্ষম জবাব দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী৷ তিনি বলেন, এখনও তো বাসন্তী পুজো আসেনি, রামনবমী হয়নি৷ সবে কুড়ি ফুটেছে৷ এবার পদ্ম ফুটবে৷ আমার বাড়ির লোকেরা পদ্ম ফোটাবে৷ আর হরিশ চ্যাটার্জীর বাড়িতে ঢুকে আমি পদ্ম ফোটাব৷’’ -ফাইল ছবি৷