চাকরির নামে ভুয়ো নিয়োগপত্র দিয়ে প্রতারণা! অভিযুক্ত খোদ BJP বিধায়ক

চাকরির নামে ভুয়ো নিয়োগপত্র দিয়ে প্রতারণা! অভিযুক্ত খোদ BJP বিধায়ক

আলিপুরদুয়ার:   ভুয়ো নিয়োগপত্র দিয়ে কোটি কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ৷ খোদ বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলালের অফিস থেকে এই ভুয়ো নিয়োগপত্র দেওয়া হয় বলে অভিযোগ৷ এই ঘটনায় তোলপাড়া আলিপুরদুয়ার৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুঙ্গে তৃণমূল-বিজেপি তরজা৷ 

আরও পড়ুন- গণপরিবহণে মহিলা যাত্রী সুরক্ষায় অস্ত্র CCTV, গুরুত্বপূর্ণ রায় হাইকোর্টের

একের পর এক ভুয়ো আইএএস, সিবিআই অফিসার, পুলিশ কর্তার পর ফের প্রতারণার পর্দা ফাঁস৷ এবার স্থান আলিপুরদুার৷ আলিপুরদুয়ারে বিদ্যুৎ দফতরে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে চলছে প্রতারণা৷ কোটি কোটি টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছে৷ বিষয়টি এমন এক পর্যায়ে পৌঁছায় যে পুলিশের দ্বারস্থ হতে হয় জেলা বিদ্যুৎ দফতরকে৷ আলিপুরদুয়ার জেলা বিদ্যুৎ দফতরের ডিভিশনাল ম্যানেজার দীপেন খাওয়াস বলেন, এই বিষয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে৷ জানা গিয়েছে, বিধায়কের দফতরে গজিয়ে ওঠা প্রতারণার জাল থেকে রেহাই পায়নি জেলা বিজেপির সক্রিয় কর্মীরাও। বেকার যুবকদের ভুয়ো নিয়োগপত্র দিয়ে প্রত্যেকের কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা তোলা হয়েছে৷ 

বেশ কিছুদিন ধরেই আলিপুর বিদ্যুৎ দফতরে আসছিলেন চাকরি প্রার্থীরা৷ তাঁদের হাতে ছিল রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের লোগো দেওয়া জাল নিয়োগপত্র৷ এমনই এক ভুয়ো নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন অজিত কুমার দাস নামে এক যুবক৷ তিনি জানান, মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তাঁকে বিদ্যুৎ দফতরে চাকরির নিয়োগপত্র দেন সুদীপ ঘোষ নামে এক ব্যক্তি৷ কিন্তু হাতে পাওয়া ওই নিয়োগপত্র ভুয়ো বুঝেই সুদীপকে টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন অজিত৷ চাপে পড়ে সেই টাকা ফেরতও দিয়ে দেন তিনি৷ অজিতের বাবা পরিতোষ দাস বলেন, সুদীপ বলেছিলেন কোনও কাজ না হলে টাকা ফেরত দিয়ে দেব৷ মুখের কথায় ভরসা করেই ছেলের বায়োডাটা দিয়েছিলাম৷

আরও পড়ুন- ত্রাণ নিয়ে দলবাজি, খোদ মন্ত্রীর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ স্থানীয় তৃণমূল নেতার!

জানা গিয়েছে, আলিপুরদুয়ারের বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলালের অফিসে কাজ করতেন এই সুদীপ ঘোষ৷ অফিসে বসে বিধায়ক নিজে প্রতারণায় রফা করে টাকা আদায় করতেন বলে অভিযোগ তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তীর৷ তিনি বলেন, সরকারি দফতরে চাকরি দেওয়ার নাম করে সুমন কাঞ্জিলালের অফিস থেকে প্রতারণা হচ্ছে৷ এর থেকে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা কিছু হতে পারে না৷ আমি এই ধরনের ঘটনায় জড়ালে এতক্ষণে আলিপুরের মানুষের কাছে নতজানু হতাম৷  তবে সুমন কাঞ্জিলালের পাল্টা অভিযোগ, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে মিথ্যে অভিযোগ তুলে কাউকে বিধায়কের আপ্তসহায়ক বলে দেখানোর অপচেষ্টা হচ্ছে৷ এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরায়ণতার নজির৷  
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *