কলকাতা: তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়া অন্য কোন দল এখনও পর্যন্ত সম্পূর্ণ প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে পারেনি। বিজেপি তিন দফায় নির্বাচনের প্রথম দু’দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে। অন্যদিকে বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ জোট এখনো পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে পারেনি। এই প্রেক্ষিতে জানা গিয়েছে, আগামী রবিবারের মধ্যে বাকি ২৩৪ আসলে একজন প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে পারে ভারতীয় জনতা পার্টির শিবির। আপাতত সেই নিয়ে ম্যারাথন বৈঠকে উদ্যোগী গেরুয়া বাহিনী।
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই বাকি আসনের প্রার্থী তালিকা নিয়ে বৈঠক শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। পরবর্তী ক্ষেত্রে সেই তালিকা সম্পূর্ণ করে রাজ্যের বিজেপি নেতারা পাড়ি দেবেন দিল্লি। কারণ রাজ্যের নির্বাচনী কমিটি বিজেপির প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করার এক্তিয়ার রাখে না। সেই কারণে বিজেপির নিয়ম অনুযায়ী সেই প্রার্থী তালিকা যাবে বিজেপির সংসদীয় কমিটিতে। তাই আগামীকাল প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকলেও, আগামী রবিবার বিজেপি বাকি আসনগুলোতে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ ইতিমধ্যেই তৃতীয় দফার নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে যা শেষ হবে ১৯ মার্চ। তাই আর কোনভাবে দেরি করতে চায় না ভারতীয় জনতা পার্টি শিবির।
আরও পড়ুন- “পাকিস্তানেও হবে বিজেপি সরকার”! ফের বেফাঁস কঙ্গনা
এর আগে যখন নিয়মমাফিক তৃণমূল কংগ্রেস পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছিল তখন ঘাসফুল শিবিরকে চরম কটাক্ষ করেছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে ছিলেন, পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের এমন কোন লাভ হবে না কারণ এই নির্বাচনে তাঁরা হারবেন। উল্লেখ্য, প্রায় তিন দফায় আসন্ন নির্বাচনের প্রথম দু’দফার যে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে বিজেপি সেখানে রয়েছে নন্দীগ্রামের প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর নাম। অন্যদিকে, খড়গপুর সদর থেকে প্রার্থী হচ্ছেন অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায় যিনি তৃণমূল কংগ্রেসে ছিলেন। এই কেন্দ্র নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল যে এখান থেকে বিজেপির প্রার্থী হতে পারেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কিন্তু পরবর্তী ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত বদল হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হওয়ার জন্য এখন এটি তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে।