“পাকিস্তানেও হবে বিজেপি সরকার”! ফের বেফাঁস কঙ্গনা

এখন সীমান্তের ওপার থেকে এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া আসে কিনা সেটাই দেখার

মুম্বাই: দিন কয়েক আগে নেপালে বিজেপি সরকার গড়া সংক্রান্ত বেফাঁস মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন গেরুয়া নেতা বিপ্লব দেব। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর এহেন মন্তব্য একেবারেই ভালো চোখে দেখেনি ভারতের হিন্দু অধ্যুষিত প্রতিবেশী দেশ নেপাল। তা নিয়ে দীর্ঘ সমালোচনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের অনুরূপ এক মন্তব্য করে বসলেন মোদী সরকারের ঘনিষ্ঠ সমর্থক তথা বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। 

বি টাউনে বরাবরই ঠোঁটকাটা বলে পরিচিত কঙ্গনা রানাওয়াত। বিশেষত গত বছর করোনা লকডাউন চলাকালীন সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকে সেই যে সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খুলেছিলেন বলিউড ‘ক্যুইন’ তারপর থেকে তাঁর মুখ আর বন্ধ হয়নি। নরেন্দ্র মোদী পরিচালিত কেন্দ্র সরকারের প্রশংসা ও সমর্থন কঙ্গনা রানাওয়াতের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের কোণায় কোণায় ছড়িয়ে রয়েছে। এমতাবস্থায় বিজেপির সমর্থন করতে গিয়ে ফের বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি। 

‘চিরশত্রু’ পাকিস্তানেও একদিন গড়ে উঠবে বিজেপির সরকার, এদিন প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করতে গিয়ে এমনটাই মন্তব্য করেছেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। বস্তুত, সম্প্রতি পাকিস্তানকে করোনা টিকার ডোজ দিয়েছে ভারত সরকার। কূটনৈতিক সম্পর্কের টানাপোড়েন এ বিষয়ে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়নি। দরাজ হাতেই করোনা টিকার প্রায় সাড়ে চার কোটি ডোজ পশ্চিমের প্রতিবেশীকে দিতে রাজি হয়েছে ভারত। বুধবার সকালে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই মোদী সরকারকে ফের এক চোট প্রশংসায় ভরিয়ে দেন বলিউড অভিনেত্রী। নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে তিনি লেখেন, “এভাবে মোদীজি যেন বলতে চাইছেন ওখানেই বিজেপি সরকার হবে।”

এখানেই শেষ নয়, তিনি আরো বলেন, “দেশের বর্তমান পরিস্থিতির দিকে চোখ রাখলে দেখা যাচ্ছে,নরেন্দ্র মোদী এখন আর কোনো নেতা নন, তিনি একটা আবেগের নাম।” পাশাপাশি ২০২৪ সালের ভারতের নির্বাচন সম্পর্কে এখন থেকেই ভবিষ্যৎবাণী করেন কঙ্গনা। ট্যুইটারে তিনি লেখেন, “সাসপেন্ড হতে পারি মাথায় রেখেও বলছি ২০২৪ সালে ফের নরেন্দ্র মোদীই প্রধানমন্ত্রী হবেন।” পাকিস্তানকে ভারতের টিকা পাঠানো প্রসঙ্গে ‘কন্ট্রোভার্সি ক্যুইনের’ মত, “মোদীজি বলতে চাইছেন পাকিস্তানের জঙ্গি তাঁর কেউ নন, কিন্তু সাধারণ মানুষ তাঁরই। ভারতেরই বিচ্ছিন্ন অংশ পাকিস্তান। একদিন সেখানেও সরকার গড়বে বিজেপি।” কঙ্গনা রানাওয়াতের মন্তব্য নিয়ে দেশের অভ্যন্তরে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে চর্চা। এখন সীমান্তের ওপার থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া আসে কিনা সেটাই দেখার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ten + fifteen =