কলকাতা: বাড়ির দরজায় লাথি মেরে, তাকে ভেঙে ঘরে ঢুকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল বিজেপি নেতা সজল ঘোষকে। একেবারে ফিল্মি কায়দায় যে ঘটনা ঘটেছিল তার প্রেক্ষিতে সমালোচনা করেছিল বিজেপি তো বটেই, তৃণমূলও বিষয়টি ভাল ভাবে নেয়নি। তবে আজ সেই বিজেপি নেতা জামিন পেলেন। ২০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে সজল ঘোষের অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করে ব্যাঙ্কশাল আদালত।
সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের কাছে ক্লাব ভাঙচুর ঘিরে বৃহস্পতিবার থেকেই উত্তেজনা ছড়ায় মুচিপাড়ায়। কার্যত তৃণমূল-বিজেপি সংঘাত বাঁধে। এই ইস্যুতেই দরজা ভেঙে পুলিশ আধিকারিকরা বিজেপি নেতা সজল ঘোষের বাড়ির ভিতরে ঢোকে। এরপর তাঁকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয়৷ ধৃত বিজেপি নেতা সজল ঘোষকে দু’দিনের পুলিশি হেফজতের নির্দেশ দিয়েছিল ব্যাঙ্কশাল আদালত৷ যদিও আবেদন ছিল সাত দিনের। সেই প্রেক্ষিতে আজ জামিন হয় তাঁর। অস্ত্র দেখিয়ে লুটপাট চালানো এবং শ্লীলতাহানির মতো একাধিক গুরুতর অভিযোগের ভিত্তিতে সজল ঘোষকে গ্রেফতার করেছিল মুচিপাড়া থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন- সংসারের হাল ধরতে বই-খাতা ফেলে চায়ের দোকানে ‘কন্যাশ্রী’ টুম্পা
সজল ঘোষের আইনজীবী আগে আদালতে জানান, তাঁর মক্কেল একটি হাসপাতালের মালিক৷ পাশাপাশি তাঁর পারিবারিক ব্যবসা রয়েছে৷ সোনার দোকান রয়েছে তাঁদের৷ রয়েছে আরও নানা ধরনের ব্যবসা৷ ফলত একটি প্লাইউডের দোকান থেক ২৫ হাজার টাকা চুরির যে অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে আনা হয়েছে সেটি আদৌ যুক্তিযুক্ত নয়৷ তিনি আরও বলেন, গ্রেফতারের আগে মুচিপাড়া থানায় ক্লাব ভাঙচুরের অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন সজল ঘোষ৷ পুলিশ সেই অভিযোগ গ্রহণ করেনি৷ সেই সময় পুলিশ অফিসাররা তাঁকে গ্রেফতারও করলেন না৷ তিনি থানা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর তাঁর বাড়িতে গিয়ে দরজায় লাথি মেরে দরজা ভেঙে গ্রেফতার করা হল৷ কেন এমন করা হল? তিনি কি সন্ত্রাসবাদী?