কলকাতা: বিজেপির পুরসভা অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার৷ সেন্ট্রাল অ্যাভেনিউতে আটকানো হল বিরোধীদের মিছিল৷ মিছিলের একেবারে সামনের সারিতে ছিলেন দিলীপ ঘোষ সহ অন্যান্য নেতৃত্ব৷ মূলত ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডের পক্রতিবাদেই এই প্রতিবাদ মিছিল৷ মছিলে অংশ নিয়েছে বিজেপি মহিলা মোর্চার সদস্যরাও৷ অন্যদিকে পুরসভার সামনেও মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী৷
আরও পড়ুন- ‘হাত’ ছেড়ে আজই তৃণমূলে ‘অভিষেক’ প্রণব-পুত্রের
প্রসঙ্গত, ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডের প্রতিবাদে সোমবার কলকাতা পুরসভা অভিযানে নামে বিজেপি৷ অন্যদিকে, মিছিল রুখতে সকাল থেকে প্রস্তুত রাখা হয়েছিল জলকামান, কলকাতা পুলিশের কিউআরটি ভ্যান৷ জায়গায় জায়গায় ব্যারিকেট করে তৈরি ছিল পুলিশ৷ কিন্তু যে পথে মিছিলের যাওয়ার কথা ছিল, সেই পথে কিন্তু আজ মিছিল যায়নি৷ আচমকা রুট বদল করে তাঁরা চলে আসে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে৷ সেখানেই মিছিলের পথ আটকায় পুলিশ৷ সেন্ট্রাল অ্যাভেনিউতে হিন্দুস্তান ভবনের সামনে বিজেপি’র মিছিল আটকাতেই শুরু হয় ধুন্ধুমার৷ মিছিল ছত্রভঙ্গ করে টেনে হিঁছড়ে বাসে তোলা হয় বিজেপি কর্মীদের৷ শুরু হয় ধস্তাধস্তি৷ ব্যারিকেট ভেঙে পাল্টা পুরসভার দিকে এগোনের চেষ্টা করে বিজেপি’র মিছিল৷ আচমকা রুট পরিবর্তন করায় প্রিজন ভ্যানের বদলে বাসে তোলা হয় গেরুয়া কর্মীদের৷ মিছিল নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে কিছুটা বেগ পেতেও হয়৷ শেষ মুহূর্তে এখানে গাডরেল দেওয়া হয়৷ একেবারে হাত পা ধরে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বিজেপি কর্মীদের৷ ক্রমশ পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে৷
আরও পড়ুন- চূড়ান্ত ফলে অসামঞ্জস্য! পুনর্গণনার দাবি জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ BJP প্রার্থী কল্যাণ চৌবে
মিছিল থেকে গ্রফতার করা হয় সায়ন্তন বোসকে৷ টেনে হিঁচড়ে বাসে তোলা হয় বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালকেও৷ সায়ন্তন বলেন, গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে যে ভাবে বাধা দেওয়া হল তা মেনে নেওয়া যায় না৷ সরকারের আচরণ দুর্ভাগ্যজনক৷ জাল ডাক্তার, জাল আইএএস-এ রাজ্য ভরে গিয়েছে৷ এর বিরুদ্ধেউ আমাদের প্রতিবাদ৷ অন্যদিকে দিলীপ ঘোষ বলেন, জোড়জবরদস্তি বিধায়ক-সাংসদদের থানায় তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে৷ বাংলায় নতুন সরকার এসেছে৷ আমরা চাইছিলাম সরকার মানুষের জন্য কাজ করুক৷ কিন্তু ২ মাসের মধ্যে রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে৷ মহিলাদের উপর অত্যাচার হচ্ছে৷ ভুয়ো ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে৷ সে জন্যই আমরা পথে নেমেছি৷
আবার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছিলাম। মানুষকে ভুয়ো টিকার বিরুদ্ধে সচেতন করতে রাস্তায় নেমেছি। করোনা বিধি মেনেই আন্দোলন করছি। আমাদের সকল কর্মীর মুখে মাস্ক রয়েছে। এটা ব্রিটিশ আমলের মতো পরিস্থিতি।’ চাঁদনি চকের সামনেও পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বাধে৷ এক বিজেপি কর্মী অসুস্থ হয়ে পড়েন৷ আবার পুলিশের বিরুদ্ধে বুকে পিঠে লাথি মারার অভিযোগ আনেন মহির গোস্বামী৷