রামপুরহাট-কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি বিজেপি’র, বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট

রামপুরহাট-কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি বিজেপি’র, বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট

কলকাতা: তৃণমূলের উপপ্রধান খুনের পরেই অগ্নিগর্ভ রামপুরহাটের বগটুই৷ তৃণমূল নেতা খুনের পরেই পর পর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় দেওয়া হয়৷ অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ১০ জনের৷ এই ঘটনার প্রতিবাদে বিধানসভায় ব্যাপক বিক্ষোভ দেখায় বিরোধীরা৷ বিধানসভা থেকে তাঁরা ওয়াকআউট করেন৷ রামপুরহাট কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে বিজেপি পরিষদীয় দল। 

আরও পড়ুন- ‘SIT এসে গোটা ঘটনা ধামাপাচা দেবে, গণহত্যার রাজনীতি হচ্ছে’, রাপুুরহাট-কাণ্ড সোচ্চার সেলিম

মঙ্গলবার বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্ব চলার মাঝে শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেন। কিন্তু, প্রশ্নোত্তর পর্ব চলায় তাঁকে অপেক্ষা করতে বলেন অধ্যক্ষ। এর পর অধিবেশনের মাঝেই রামপুরহাটের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান সাউটিং শুরু করে দেন বিজেপি বিধায়করা। এর পরেও স্পিকার প্রশ্নোত্তর পর্ব চালিয়ে যাওয়ায় বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন তাঁরা৷ তার পর বিধানসভার বাইরে বসেও ফের বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিরোধী বিধায়করা৷ 

এদিন বিজেপি পরিষদীয় দলের তরফে মনোজ টিগগা বলেন, ‘‘আরও একবার প্রমাণিত হয়ে গেল পশ্চিমবঙ্গে আইনের শাসন নেই৷ এখানে শাসকের আইন রয়েছে। সাধারণ মানুষ থেকে জনপ্রতিনিধি কারও জীবনের কোনও মূল্য নেই। এই হত্যাকাণ্ডের পর রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত৷ আমরা তাঁর পদত্যাগ দাবি করছি।’’ তাঁর কথায়, এই ঘটনা মধ্যযুগীয় বর্বরতা৷ বিজেপি পরিষদীয় দলের দাবি, রামপুরহাটে ১১ জনকে পুড়িয়ে মেরেছে শাসকদলের দুষ্কৃতীরা। বিজেপি সাংসদদের দাবি, রাজনৈতিক গণহত্যা রুখতে ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী৷ 

অন্যদিকে, চাকদহের বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ রাজ্যের ভেঙে পড়া আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন৷ তিনি বলেন,‘‘দিন দিন রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে৷ তৃণমূল কাউন্সিলর থেকে শুরু করে বীরভূমের খেটে খাওয়া মানুষগুলোর জীবন এভাবে চলে গেল। ভোট-পরবর্তী সন্ত্রাসে সারা দেশের কাছে বাংলার মাথা নত করে দিয়েছিল৷ জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ, কেউ নিরাপদ নয়৷ কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত অবিলম্বে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে হস্তক্ষেপ করা ’’