‘SIT এসে গোটা ঘটনা ধামাপাচা দেবে, গণহত্যার রাজনীতি হচ্ছে’, রাপুুরহাট-কাণ্ড সোচ্চার সেলিম

‘SIT এসে গোটা ঘটনা ধামাপাচা দেবে, গণহত্যার রাজনীতি হচ্ছে’, রাপুুরহাট-কাণ্ড সোচ্চার সেলিম

রামপুর: তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় অগ্নিগর্ভ বীরভূমের রামপুরহাট৷ বকটুই গ্রামে পর পর বাড়িতে আগুন৷ অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের৷ এই ঘটনার প্রতিবাদে সোচ্চার বামেরা৷ সাংবাদিক বৈঠক করে মহম্মদ সেলিম বলেন, একের পর এক ঘটনা সরকার ধামাচাপা দিয়েছে৷ পুলিশ সবার আগে ওই অঞ্চল ঘিরে ফেলে বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার করুক৷ সমস্ত বোমা কারখানা খুঁজে বার করুক৷ রাজ্য সরকার সিট গঠন করার নির্দেশ দিয়েছে৷ কিন্তু,  সিট এসে গোটা ঘটনাটাই ধামাচাপা দেবে৷ সেলিমের কথায়, এরাজ্যে সিট (SIT)  মানে সাপ্রেশন অফ ইনফরমেশন অ্যান্ড ট্রুথ৷ 

আরও পড়ুন-কী কারণে আগুন স্পষ্ট নয়, উপপ্রধান খুনের ঘটনায় ডিজিপি

এদিন সেলিম বলেন, অনেকেই প্রাণ বাঁচাতে তৃণমূলের ঝাণ্ডা ধরেছিল৷ কিন্তু এর পরেও সকলে নিরাপদ নয়৷ আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলতেন, যত দাগী রয়েছে সকলে তৃণমূলে আসো, পুলিশ কেস দেবে না৷ এখন বিজেপি বলছে আমাদের স্মরণে এলে ইডি-সিবিআই থেকে বাঁচাব৷ সেই টোপেই খুনী, মস্তানরা এ দল, ও দল করছে৷ আর নিরাপত্তা আদায় করছে৷ তাঁর কথায়, পুলিশরাও তো নিরাপদ নয়৷ উচ্চপদস্থ পুলিশ অফিসাররাও দলদাসে পরিণত হয়েছে৷ পুলিশের পর পুলিশ খুন হয়েছে৷ শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে এই খুনের রাজনীতি, গণহত্যার রাজনীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে৷

সেলিম বলেন, মন্ত্রী হেলিকপ্টার নিয়ে ছুটে যাবেন আর শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করবেন৷ নবান্ন থেকে হয়তো কিছু ঘোষণা করা হবে৷ এর পর সবটাই ধামাচাপা পড়বে৷ সেলিম বলেন, ঘটনাস্থলে বামকর্মীরা গিয়েছে৷ সমস্ত ঘটনা সংগ্রহ করা হচ্ছে৷ তবে সবার আগে বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে৷ এখানে মানুষের জীবন নিয়ে খেলা হচ্ছে৷ অপরাধীদের হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী নয় রাজ্য পুলিশ পাহারা দিচ্ছে৷ খুন  হচ্ছে সাধারণ মানুষ৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *