কলকাতা: রাজ্য কমিটিতে ব্যাপক রদবদলের পর বদলে গেল জেলা কমিটির খোলনলচে৷ তবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল রাজ্য কমিটির পর জেলা কমিটি থেকেও বাদ পড়ল সায়ন্তন বসুর নাম৷ বরং জেলা বিভাগের দায়িত্ব পেলেন সঞ্জয় সিং, অর্জুন সিং৷ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে লকেট চট্টোপাধ্যায় সহ একঝাঁক নতুন নেতাকে৷ এদিকে, রদবদল হতেই ব্যাপক বিদ্রোহ বিজেপি’তে৷ সায়ন্তন বসুর পর বিদ্রোহী তিন সাংসদ ছাড়লেন দলের একাধিক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ৷
আরও পড়ুন- কেল্লার কাছে দক্ষিণরায়ের গর্জন, ছাগলের টোপে চলছে বাঘ ধরার চেষ্টা
বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বঙ্গ বিজেপি সভাপতি হওয়ার পর থেকেই রাজ্য কমিটিতে বদল এসেছে৷ বদলে গিয়েছে একাধিক জেলার সভাপতি৷ বিভাগীয় কনভেনার হিসাবে উঠে এসেছে একঝাঁক নতুন নাম৷ কিন্তু লক্ষ্যনীয় বিষয় হল জেলার কনভেনার পদেও ঠাঁই পেলেন না সায়ন্তন বসু৷ প্রসঙ্গত, বিজেপি’র সাংগঠনিক জেলার সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪২৷ প্রত্যেক সাংগঠনিক জেলার দায়িত্বে রয়েছেন একজন সভাপতি।
এদিকে জল্পনা সত্যি করে বিজেপি-র যুবমোর্চার রাজ্য সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ’কে। রাজ্য বিজেপি-র সহ-সভাপতির কার্যভার সঁপা হয়েছে তাঁর হাতে৷ সৌমিত্রর জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তরুণ নেতা ইন্দ্রনীল খাঁ’কে৷ একই ভাবে রাজ্য মহিলা মোর্চার সর্বোচ্চ পদেও বদল এসেছে। অগ্নিমিত্রা পালের জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তরুণ নেত্রী তনুজা চক্রবর্তীকে৷ অগ্নিমিত্রাকে নিয়ে আসা হয়েছে রাজ্য বিজেপি-র মূল সংগঠনে৷ তবে নতুন কমিটিতে ঠাঁই হয়নি সায়ন্তন বসু, জয়প্রকাশ মজুমদার এবং প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো বিজেপি-র হেভিওয়েট নেতাদের।উল্লেখ্য, গত ২০ সেপ্টেম্বর বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব নেন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। এর তিন মাস পর কমিটির নতুন সদস্যদের নাম ঘোষণা করা হল।
অন্যদিকে সায়ন্তন বসুর পর বিজেপি’তে চড়া আরও বিদ্রোহের সুর৷ গ্রুপ ছাড়লেন একাধিক বিধায়ক৷ বিজেপি’র হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে সরে দাঁড়ালেন বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া, গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর এবং হরিণঘাটার বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকার৷ বিজেপি’র রাজ্য কমিটিতে মতুয়া সম্প্রদায়ের কোনও প্রতিনিধি না থাকায় এই বিদ্রোহ বলে সূত্রের খবর৷
গত বিধানসভা ভোটে মতুয়া ভোটব্যাঙ্ক মজবুত থাকার জন্যেই বিজেপি’র ঝুলিতে একাধিক আসন এসেছিল৷ বনগাঁ লোকসভা মতুয়া অধ্যুষিত৷ সাংসদ শান্তনু ঠাকুর সারা ভারত মতুয়া সঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি৷ মতুয়া ভোটব্যাঙ্ক মজবুত হওয়ার পরেও মতুয়াদের কোনও প্রতিনিধি নেই৷ এই ক্ষোভেই তাঁরা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন বলে সূত্রের খবর৷ তবে এই বিষয়ে কেউ সরাসরি প্রতিক্রিয়া জানাননি৷