কলকাতা: নভেম্বরের মধ্যেই রাজ্যে উপনির্বাচন চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির জন্য বাংলায় বিধিনিষেধ জারি থাকলেও সরকারের তরফে দাবি করা হচ্ছে যে, যে সব কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে সেখানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এখন শূন্য। সেই প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের দারস্থ হয়েছে ঘাসফুল শিবির। তবে প্রথম থেকেই এই বিষয় নিয়ে বিরোধিতা করে এসেছে বিজেপি। এবার আরও বিরোধিতায় জোর লাগাল তারা। উপনির্বাচন আটকাতে মূলত আট কারণ সামনে আনল গেরুয়া শিবির।
আরও পড়ুন- বাংলায় নির্বাচনের রণকৌশলই ভুল ছিল! মানতে ‘বাধ্য’ হল বিজেপি
জানা গিয়েছে যে যে কারণের কথা উল্লেখ করে রাজ্য বিজেপি ইতিমধ্যেই চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় গেরুয়া নেতৃত্বকে। এই কারণের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয় তোলা হয়েছে তা হল, রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি চলছে এবং লোকাল ট্রেন বন্ধ। ওদিকে, সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসের মধ্যেই তৃতীয় ঢেউ আসার আশঙ্কা রয়েছে, আবার সেই মাসেই পুজো। তাই কোনও ভাবেই এই সময়ে উপনির্বাচন করা সম্ভব নয়। এছাড়াও বিজেপি জানিয়েছে, রাজ্যে কোভিড সংক্রান্ত বিধিনিষেধ এখনো লাগু করে রাখা রয়েছে। পুরসভা নির্বাচন হয়নি এখনও পর্যন্ত। তার কারণ হিসেবে রাজ্য সরকার করোনা পরিস্থিতির কথাই বলেছে। তাহলে উপনির্বাচন কী ভাবে সংঘটিত করা হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তারা।
আরও পড়ুন- BREAKING: পুলিশ নিয়োগে কারচুপি, হাই কোর্টের প্রশ্নের মুখে রাজ্য সরকার
উপনির্বাচন ইস্যু নিয়ে আবারও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী থাকার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাগল হয়ে যাচ্ছেন এবং তাই জন্য রাজ্যের সকল মানুষকে বিপদের মুখে ঠেলে দিয়ে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যেই উপনির্বাচন করাতে চাইছেন। দিলীপের সাফ কথা, রাজ্যের ভাইরাস পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আসেনি, তার পরেও রাজ্যে ভোট করাতে চাইছে তৃণমূল। আসলে এখনও রাজ্যে একাধিক কেন্দ্রে নির্বাচন করতে হবে। নন্দীগ্রামে ভোটে দাঁড়িয়ে হেরে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাই নিয়ম অনুযায়ী আগামী ৬ মাসের মধ্যে তাকে নির্বাচনে জিতে আসতে হত। মে মাসের ফলাফল ঘোষণার পর নভেম্বর মাসের মধ্যে উপনির্বাচন করতে হবে। কিন্তু আপাতত করোনাভাইরাস পরিস্থিতির জন্য সেই নির্বাচন হওয়া কতটা সম্ভব তা এখনও হলফ করে বলা যাচ্ছে না।