TET ‘কেলেঙ্কারি’র তৃণমূল বিধায়ক এখন বিজেপির! কীভাবে হবে ‘সোনার বাংলা’?

TET ‘কেলেঙ্কারি’র তৃণমূল বিধায়ক এখন বিজেপির! কীভাবে হবে ‘সোনার বাংলা’?

কলকাতা: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের টেট কেলেঙ্কারি নিয়ে বিতর্কের কেন্দ্রে উঠে এসেছিল তাঁর নাম৷ বিরোধীরা তো বটেই, তৃণমূলের অন্দরেও তাঁকে নিয়ে সমালোচনা কম হয়নি৷ এক সময় বলা হত প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের টেট পরীক্ষার গন্ডি টপকাতে হলে বিশ্বজিৎ কুণ্ডুর ঘনিষ্ঠ হতে হবে৷ সেই বিশ্বজিৎ কুণ্ডু আজ অমিত শাহের উপস্থতিতে যোগ দিলেন গেরুয়া শিবিরে৷ বদল আনার স্লোগান তুলে দুর্নীতিমুক্ত সরকার গঠনের ডাক দিয়েছে বিজেপি৷ কিন্তু দুর্নীতি পরায়ণ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে কি দুর্নীতি মুক্ত সরকার গড়া সম্ভব? উঠছে প্রশ্ন৷ 

আরও পড়ুন- নিশানায় শুভেন্দু, পরিবারতন্ত্র নিয়েই বিজেপিকে খোঁচা কল্যাণের

তৃণমূল সরকার শিক্ষক নিয়োগে ব্যর্থ৷ ২০১৪ সালের টেট কেলেঙ্কারি এখনও হাজার হাজার বেকার যুবকদের মনে দগদগে ঘা হয়ে রয়েছে৷ চুরমার হয়ে গিয়েছে বহু যুবক-যুবতীয় শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন৷ আর এই কেলেঙ্কারির অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন বিশ্বজিৎ কুণ্ডু৷ টেট কেলেঙ্কারির এই হোতা এখন ‘গেরুয়া’৷ ক্ষমতায় এলে এই রকম দুর্নীতিপয়ারণ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে কি স্বচ্ছ নিয়োগ করতে পারবে বিজেপি? না কি বদল এলেও বদলাবে না দুর্নীতির চেনা ছবি? তবে আগামী দিনে বাংলার ভবিষ্যৎ যাই হোক না কেন, টেট কেলেঙ্কারির এই কলঙ্ক কোনও দিনই মুছতে পারবেন না বিশ্বজুৎবাবু৷ টেট কেলেঙ্কারির কথা ভুলবে না বাংলার মানুষও৷ অথচ এই দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের এতদিন দলে সযত্নেই রেখেছিল তৃণমূল৷ এবার সাদরে গ্রহণ করে নিল বিজেপি৷ 

আরও পড়ুন- মেদিনীপুরে মেগা যোগদান: কারা কারা ধরলেন পদ্ম, দেখুন তালিকা

২০১১ সালে তৃণমূলের টিকিটে কালনা কেন্দ্র থেকে ১২ হাজার ভোটে লিড নিয়ে জিতেছিলেন বিশ্বজিৎ কুণ্ডু৷ ২০১৪ সালে প্রাথমিক টেট কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ায় তাঁর৷ বিশ্বজিৎবাবুর পরিবারের লোকজনকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ তোলে তৃণমূলেরই একাংশ৷ তাঁর নামে শহরজুড়ে পোস্টারও পড়ে৷ এমনকী প্রতিবাদ মিছিল ও লিফলেট বিলিও হয়৷ টেট কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ানোর পরই ২০১৫ সালে পুরনির্বাচনে সাত নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী হয়ে পরাজিত হয়েছিলেন বিশ্বজিৎবাবু। সেই তিনিই এবার দল বদলে এলেন গেরুয়া শিবিরে৷ এদিকে, একুশের ভোটকে পাখির চোখ করে দলে সদস্য পদ বাড়াতে মরিয়া বিজেপি৷ তবে দুর্নীতিপরায়ণদের দল বদলে বাংলার ভাগ্য বদলাবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen − fourteen =