দার্জিলিং: গলছে বরফ৷ নয়া মোড় নিচ্ছে পাহাড়ের রাজনীতি৷ চার বছর পর দূরত্ব ঘুচিয়ে মুখোমুখি বিনয় তামাং ও বিমল গুরুং৷ বুধবার দার্জিলিংয়ের পাতাবং এলাকায় গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা সভাপতি বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন বিনয় তামাং৷ এর পরেই জোড় গুঞ্জন, তবে কি ঘরে ফিরতে চলেছেন বিনয়? বদলাতে চলেছে পাহাড়ের রাজনৈতিক সমীকরণ? গুরুং-তামাং-এর বৈঠকে তেমনই ইঙ্গিত৷
আরও পড়ুন- মমতার লক্ষ্মী ভাণ্ডার প্রকল্প রূপায়নে তৎপর বিজেপি!
২০১৭ সালে পৃথক রাজ্য নিয়ে পাহাড়ের আন্দোলন, হিংসা, অশান্তির পর এই প্রথম মুখোমুখি দুই নেতা৷ চার বছর পর ফের এক টেবিলে তাঁরা৷ তবে গতকালের বৈঠকে ঠিক কী কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, তা নিয়ে মুখে কুলুপ দু’জনেরই৷ শুধু জানান পাহাড়ের মানুষের জন্য কী ভাবে কাজ করা হবে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে৷ তবে রাজনীতির কারবারিদের মতে, এই বৈঠকই লুকিয়ে বিনয় তামাংয়ের ঘরে ফেরার ইঙ্গিত৷ প্রসঙ্গত, ২০১৭-র অশান্তির পর পাহাড় ছাড়ে বিমল গুরুং, রোশন গিরিরা৷ তাঁর অবর্তমানে পাহাড়ের নেতা হিসেবে উত্থান হয় বিনয় তামাং ও অনীত থাপার। দীর্ঘ দিন অন্তরালে থাকার পর গত বছর পুজোর সময় প্রকাশ্যে আসেন গুরুং৷
এদিনের ঘণ্টাখানেকের উপর বৈঠক নিয়ে দুই নেতা একটি বাক্য খরচ না করলেও বিমল গুরুং দিল্লিতে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে যাবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন৷ তিনি বলেন, “ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের নামে কেন্দ্রীয় সরকার পাহাড়ের মানুষের চোখে ধুলো দেওয়ার চেষ্টা করছে৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে বলেছিলেন পাহাড়ের ১১টি জনজাতিকে তফসিল তালিকাভুক্ত করা হবে। কিন্তু আজও সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি। বিজেপি সরকার শুধু আশ্বাস ও ভাষণ দিতে পারে।”
আরও পড়ুন- তৃণমূলের সাংসদ পদ কি ছাড়বেন শিশির? জল্পনা বাড়ালেন শান্তিকুঞ্জের কর্তা
তবে গুরুং এবং তামাং যে কাছাকাছি আসছেন সেই ইঙ্গিত আগেই মিলেছিল দিন কয়েক আগেই৷ বিনয়ের মুখে শোনা গিয়েছিল বিমল গুরুংয়ের ভূয়সী প্রশংসা৷ এদিন বিমল গুরুংয়ের সুরে সুর মিলিয়েই কেন্দ্রের ত্রিপাক্ষিক বৈঠককে কটাক্ষ করেন বিনয়ও৷ তাই অনেকেই মনে করছেন বিনয় তামাংয়ের ঘরে ফেরাটা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা৷