বনগাঁ: দিন দুই আগে বনগাঁয় একটি সভা থেকে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বিতর্কের ঝড় তুলেছিলেন বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন প্রশাসক শঙ্কর আঢ্য৷ ওই সভায় দাঁড়িয়ে নিজের ভুল স্বীকার করে নিয়েছিলেন বনগাঁর প্রাক্তন পুরপিতা৷ তাঁর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক করলেন বনগাঁর যুব তৃণমূল সভাপতি সন্দীপ দেবনাথ৷ শঙ্করের বক্তব্যকে ‘পাগলের প্রলাপ’ বলে উড়িয়ে দিলেন তিনি৷ এহেন মন্তব্যের জন্য দল তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ করবে বলেও জানান সন্দীপ৷
আরও পড়ুন- নিম্নচাপের ভ্রুকুটির মধ্যেও শীত আসতে দেরি নেই! সুখবর হাওয়া অফিসের
সম্প্রতি বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে ২০১৫ সালের পুরভোটের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেব বনগাঁর প্রাক্তন পুরপিতা শঙ্কর আঢ্য৷ তিনি বলেন, ‘‘আমার রাজনৈতিক জীবনে যদি কোনও অন্যায় করে থাকি তাহলে সেটা ২০১৫ সালের পুরভোটে৷ তবে নিজের ইচ্ছায় সেই ভুল করিনি৷ দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কথায় করেছিলাম। আমি নিজেও প্রার্থী ছিলাম ওই নির্বাচনে। বামফ্রন্ট অধ্যুষিত এলাকায় সকাল সকাল ভোট হচ্ছিল। হেরে যাওয়ার ভয়ে ছুটে গিয়েছিলাম বনগাঁ হাইস্কুলে। জেলার প্রিয় মন্ত্রীর নির্দেশে ছুটে গিয়েছিলাম। বলেছিলাম বুথ ছেড়ে কী ভাবে যাব? তা সত্ত্বেও ওঁর জোড়াজুড়িতে নিজে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ভোট করিয়েছিলাম। সে দিন ভুল করেছিলাম। ক্ষমা চাইছি। ক্ষমা চাওয়া অপরাধ নয়।’’
সেই মন্তব্যের জবাব দিয়ে এদিন সন্দীপ বলেন, ‘‘বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান পাগলের প্রলাপ বকছেন। আমরা তৃণমূলের প্রতীকে ভোটে জিতি। সকলের নিশ্চিত ভাবেই জানা দরকার যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ও তৃণমূলের প্রতীক ছাড়া আমাদের কাছে আর কিছুই থাকে না। ২০১৫ সালেও উন্নয়নের ভিত্তিতে মানুষের কাছে আমরা ভোট চেয়েছিলাম। মানুষের আশীর্বাদেই জয়যুক্ত হয়েছে দল৷’’ সন্দীপের চ্যালেঞ্জ, ‘‘ শঙ্কর আঢ্য আর তাঁর স্ত্রী কী ভাবে ভোটে জিতেছিলেন, সেটা বুকে হাত রেখে বলুন। সাধারণ মানুষ ওঁর জন্য পদে পদে অত্যাচারিত।’’
তৃণমূলের এই সাংবাদিক বৈঠকের পর বনগাঁর বিজেপি নেতা দেবদাস মণ্ডল পাল্টা আক্রমণ শানিয়ে বলেন, ‘‘ প্রাক্তন পুরপিতার এই মন্তব্যের পর তাঁকে ঝেড়ে ফেলতে চাইছে তৃণমূল৷ উনি কী কাজ করেছেন তৃণমূল কি জানত না? এটা কি বিশ্বাসযোগ্য? ২০১৯ সালেই বনগাঁর মানুষ এর যথাযথ বিচার করেছেন।’’