কলকাতা: হেনস্থার অভিযোগে শুক্রবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের কাছে নালিশ জানিয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়৷ পর দিনই মিলল ‘শাস্তি’৷ মিল্লি আল আমিন কলেজ থেকে রামমোহন কলেজে বদলি করা হল বিজেপি নেত্রী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে৷ মুখ খোলার পরই রাতারাতি এল বদলির নির্দেশ৷ এই ঘটনায় নিজের ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এই বদলি তিনি মানছেন না বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন৷ তাঁর মতে এটা শাস্তি৷
আরও পড়ুন- একুশেই শরণার্থীরা পাবেন নাগরিকত্ব! শান্তনুকে নিয়ে নীরব কৈলাস!
বৈশাখী বলেন, ‘‘গত জুন মাসে এই বদলির নির্দেশ এলে মনে করতাম সহৃদয় হয়ে এই বদলি করছে শিক্ষা দফতর৷ কিন্তু গতকাল ফিরহাদ হাকিম সাহেবের বিরুদ্ধে মুখ খোলার পর আজ এই বদলির নির্দেশ শাস্তির বার্তা বহন করে আনল৷ আমি এই শাস্তির বার্তা গ্রহণ করছি না৷ বদলির নির্দেশ মানছি না৷ জনস্বার্থে কী ভাবে এই বদলি হচ্ছে তা রাজ্যপালের কাছে জানতে চাইব৷ ওঁনার সিলমোহর দেওয়ার অর্থ আমাকে দোষারোপ করা৷ এর বিরুদ্ধে আইনি লড়াই করব না চাকরি ছেড়ে দেব, সে বিষয়ে শীঘ্রই সিদ্ধান্ত নেব৷ দুটি পথই খোলা থাকছে আমার সামনে৷’’
বৈশাখী আরও বলেন, ‘‘আমার কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ যে দুঃসহ হয়ে উঠেছে সে কথা একাধিকবার শিক্ষা দফতরে জানিয়েছিলাম। পরিস্থিতির চাপে জুন মাসে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষার পদ থেকে পদত্যাগ করতে হয়েছিল আমাকে। কিন্তু তখন এর বিহিত হয়নি। গতকাল মাননীয় ফিরহাদ হাকিম সাহেবে বিরুদ্ধে মুখ খুলেই রাতারাতি বদলির অর্ডার ইস্যু করা হল৷ এর অর্থ দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা অব্যবস্থার জন্য আমাকেই দায়ী ঠাওরানো।’’
আরও পড়ুন- দিদিমণি, হঠাৎ জেলের গল্প কেন? শুনুন, আমি জেলের ভয় পাই না: দিলীপ
প্রসঙ্গত, গতকাল শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেছিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়৷ হেনস্থার অভিযোগ তুলেছিলেন তাঁরা৷ শোভন জানান, ‘‘আল আমিন কলেজ থেকে বৈশাখীকে বার করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে৷ কলেজ কারোও অ্যাজেন্ডা পূরণের জায়গা হতে পারে না৷ নিজের কাজের সমালোচনা করা উচিত সরকারের৷’’