দিদিমণি, হঠাৎ জেলের গল্প কেন? শুনুন, আমি জেলের ভয় পাই না: দিলীপ

দিদিমণি, হঠাৎ জেলের গল্প কেন? শুনুন, আমি জেলের ভয় পাই না: দিলীপ

এগরা: শিয়রে নির্বাচন৷ ২১-এর ভোট ময়দানে বাড়ছে আক্রমণের তেজ৷ শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার থেকে আরও একবার নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানালেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ 

আরও পড়ুন- শুভেন্দুর পর বিস্ফোরক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বনমন্ত্রীকে দরাজ সার্টিফিকেট ফিরহাদের

এদিন কটাক্ষ করে দিলীপ বলেন, দশ বছর আগে রাজ্যে পরিবর্তন এসেছিল৷ দিদিকে মুখ্যমন্ত্রী করতে গ্রীষ্মের দাবদাহকে উপেক্ষা করে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ৷ এত কষ্টের পর রাজ্যে পরিবর্তনের নামে কিছু বাড়ির রং বদলে নীল সাদা করা হয়েছে৷ কিছু জায়গার নাম বদলে দেওয়া হয়েছে৷ আর পশ্চিমবঙ্গের নাম বদলে বাংলা করার চেষ্টা হয়েছে৷ তবে বদলে গিয়েছে তৃণমূল নেতা, মন্ত্রী কাউন্সিলারদের বাড়ির আকার৷ উন্নয়ন হয়েছে তণমূলের নেতাদের৷ 

দিলীপ ঘোষের কথায়, দিদিমণি সব সময় দুশ্চিন্তায় ভুগছেন৷ ২০১৪ সালে ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদী যখন এসেছিলেন তখন মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন কোন হরিদাস এসেছেন৷ এখন বলছেন আমাকে জেলে পাঠিয়ে দিন৷ জেল থেকেও দলকে জেতাব৷ এখন হঠাৎ জেলের গল্প কেন? আসলে সিবিআই জুজু রয়েছে৷ কে কখন আটকে যাবে কেউ জানে না৷ দিদিমণি সেই ভয়টাই পেয়েছেন৷ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমার নামে ৪০টি মামলা আছে, কিন্তু আমি জেলের ভয় পাই না৷’’ তাঁর কথায়, যারা মারপিট করছে, তাদের জেলে যাওয়ার ভয় রয়েছে৷ 

আরও পড়ুন- মন্ত্রীর সামনে ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব’! প্রশ্ন করতেই সাংবাদিককে ধাক্কা মন্ত্রীর

কটাক্ষ করে বঙ্গ বিজেপি সভাপতি বলেন, এখন বাংলার জেলগুলি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে৷ কারণ মে মাসের পর দিদির ভাইদের জায়গা ওখানেই হবে৷ দিদিমণিও যাবেন৷ তৃণমূলের বৈঠক হবে জেলে বসেই৷ যারা মানুষকে লুট করেছে, তাদের জেলে যেতেই হবে৷ বিজেপরি কর্মীরা প্রাণ দিতে এসেছে৷ ১২৭ জন কর্মী পশ্চিমবঙ্গের জন্য বলিদান দিয়েছেন৷ তাই ‘‘আমাদের নামে মামলা ঠুকেও ভয় দেখাতে পারবেন না৷’’  

এদিন কৃষি আইনের সপক্ষে ফের সরব হন তিনি৷ দিপীল বলেন, কৃষকদের যাতে ঠকতে না হয় সে জন্য কৃষি আইন আনা হয়েছে৷ কৃষকদের ৫ টাকা দরে আলু বিক্রি করতে হয়৷ অথচ সেই আলু আজ ৪৫ টাকায় বাজারে বিক্রি হচ্ছে৷ কৃষকরা সহায়ক মূল্য পাচ্ছেন না৷ দিদিমণির জন্যই রাজ্যে ফড়েদের দৌরাত্ম্য৷ নরেন্দ্র মোদী কৃষকদের সহায়ক মূল্য বাড়িয়েছেন৷ কৃষক-শ্রমিকদের বিরুদ্ধে গিয়ে কেউ সরকার চালাতে পারবে না৷    


 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × 5 =

DA থেকে ট্যাব, ভোটের আগে ‘কল্পতরু’ মমতাকে বিঁধলেন দিলীপ

DA থেকে ট্যাব, ভোটের আগে ‘কল্পতরু’ মমতাকে বিঁধলেন দিলীপ

কলকাতা:  সেতু উদ্বোধন থেকে ৯ লক্ষ পড়ুয়াকে ট্যাব বা ডিএ, একাধিক ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তুলোধোনা করলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি বললেন, সবটাই নির্বাচনী ভাওতা৷ বাংলায় এখন রাজনীতি হচ্ছে৷ ২০২১ এ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি’র হাত ধরে রাজ্য পরিবর্তন আসবে৷ সুশাসন ফিরবে৷ 

আরও পড়ুন- শান্তনু ঠাকুরকে তৃণমূলে ফিরে আসার আহ্বান জানালেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক

এদিনই জানুয়ারি মাস থেকে সরকারি কর্মীদের ৩ শতাংশ ডিএ বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ এর পরিপ্রেক্ষিতে  দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী ভারতীয় জনতা পার্টির প্রতিটি বক্তব্যকেই গুরুত্ব দেন৷ মাঝের হাট সেতুর উদ্বোধন কেন হচ্ছে না, তা জানতে চেয়ে গত সপ্তাহে কয়েক হাজার কর্মী পথে নেমেছিলেন৷ তার পরিণামে আজ মাঝেরহাট সেতুর উদ্বোধন করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘গতকাল পে কমিশন গঠন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলাম আমরা৷ সরকারি কর্মচারীদের ২১ শতাংশ ডিএ এখনও বকেয়া নিয়েও সোচ্চার হয়েছিল গেরুয়া শিবির৷ এর পরই আজ নবান্ন থেকে ৩ শতাংশ ডিএ বাড়ানোর কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী৷’’ তাঁর কথায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাঁর দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন করার দায়িত্ব নিয়েছি আমরা৷ সরকারি কর্মীরা তাঁদের পাওনা সময় মতো পাবেন বলেই আমরা আশা করব৷ তিনি আরও বলেন, ত্রিপুরায় সপ্তম পে কমিশন শুরু হয়ে গেল৷ অথচ বাংলা এগোতে পারল না৷ 

আরও পড়ুন- ‘মানুষের বিবেক নেই’? প্রকাশ্যে ভোটারদের ‘বেইমান’ বললেন অনুব্রত

অন্যদিকে, রেল মাঝেরহাট সেতু নির্মাণে ছাড়পত্র দেওয়ার জন্য ৩৪ কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ এর পরিপ্রেক্ষিতে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, আমরাও অনেক কিছু জানি৷ কে কত টাকা দিয়েছে এবং কে কত টাকা নিয়েছে তা স্পষ্ট ভাবে টাঙিয়ে দেওয়া উচিত৷ আমাদের মন্ত্রীরা কাজ করছেন, আর সুফল পাচ্ছেন দিদি৷

রাজ্যের ৯ লক্ষ ছাত্রছাত্রীকে ট্যাব দেওয়ার কথাও এদিন ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ এ প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপি সভাপতি বলেন, এই ধরনের ঘোষণা নির্বাচনের আগে সবাই করে৷ উত্তরপ্রদেশেও একসময় ‘সপা’ সরকার ট্যাব দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল৷ কিন্তু দিতে পারেনি৷ যারা ১০ বছরে মানুষের স্বপ্ন পূরণ করতে পারল না, তাঁরা নির্বোচনের আগে এই ধরনের ঘোষণা করলে কেউ কি বিশ্বাস করবে? এগুলো নির্বাচন কেন্দ্রিক ঘোষণা৷ মানুষ দশ বছরের কাজের হিসাব দেখেই রায় দেবে৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen + twelve =