‘আর কত দিন বন্দি রাখবেন?’ কল্যাণময়ের জামিনের আর্জি খারিজ করেও CBI-কে প্রশ্ন আদালতের

‘আর কত দিন বন্দি রাখবেন?’ কল্যাণময়ের জামিনের আর্জি খারিজ করেও CBI-কে প্রশ্ন আদালতের

কলকাতা:  জামিনের আবেদন খারিজ৷ এদিনও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে জামিন দিল না কলকাতা হাই কোর্ট। জামিনের আর্জি খারিজ করলেও সিবিআই-এর উদ্দেশে আদালতের পাল্টা প্রশ্ন, ‘‘জোরালো যুক্তি না থাকলে এক জনকে কত দিন বন্দি করে রাখতে পারবেন?’

আরও পড়ুন- উত্তুরে হাওয়ার পথে বাধা, তবুও সপ্তাহান্তে পারদ নামছে হু হু করে, জাঁকিয়ে শীত বঙ্গে

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত কল্যাণময়ের বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের মামলায় আপাতত জেল বন্দী রয়েছেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি। বুধবার তাঁর জামিনের আর্জি খারিজ করে দেয় হাই কোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ৷ এদিন বেঞ্চ জানায়, বৃহস্পতিবার ফের মামলাটি শোনা হবে৷ 

গত ১৩ ডিসেম্বর কলকাতা হাই কোর্টে জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন কল্যাণময় গন্দ্যোপাধ্যায়। এ প্রসঙ্গে সিবিআইয়ের মতামত জানতে চেয়েছিল উচ্চ আদালত। গত ২২ ডিসেম্বর জামিন মামলার পরবর্তী শুনানিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে যে জবাব দেওয়া হয়, তাতে অসন্তোষ প্রকাশ করে আদালত। বুধবার শুনানি শুরু হলে সিবিআই-এর উদ্দেশে বিচারপতি বাগচীর পরামর্শ— ‘‘নিয়োগ দুর্নীতিতে আর্থিক লেনদেনের ভাল করে তদন্ত করুন। অযোগ্যদের তো আর ভালবেসে চাকরি দেওয়া হয়নি!’’

নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ১১৩ দিন ধরে জেলে বন্দি রয়েছেন কল্যাণময়। তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিটও পেশ করা হয়েছে।  কল্যাণময়ের আইনজীবী আদালতে বলেছিলেন, তাঁর মক্কেলের শারীরিক সমস্যা রয়েছে। তা ছাড়া স্কুল সার্ভিস কমিশনের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ছিলেন শান্তিপ্রসাদ সিনহা। তাঁর দেওয়া সুপারিশপত্র মেনেই নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল। বুধবার সিবিআই-এর তরফে জানানো হয়, প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও প্রচুর অযোগ্য প্রার্থীকে নিয়োগ করা হয়েছে। তদন্তে বেনিয়ম দেখার পরই গ্রেফতার করা হয়েছিল।