‘মুখ্যমন্ত্রী সামান্য কিছু দিয়ে আমাদের সন্তুষ্ট করলেন… নিরাপত্তা কোথায়? হতাশ স্বজনহারারা

‘মুখ্যমন্ত্রী সামান্য কিছু দিয়ে আমাদের সন্তুষ্ট করলেন… নিরাপত্তা কোথায়? হতাশ স্বজনহারারা

রামপুরহাট: বগটুই-হত্যাকাণ্ডে উত্তাল গোটা বাংলা৷ এখনও বগটুই জুড়ে আতঙ্কের ছায়া৷ এই পরিস্থিতিতে আজ, বৃহস্পতিবার দুপুরে রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেখানে পৌঁছেই তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেনকে গ্রেফতারের নির্দশ দেন তিনি৷ সেই সঙ্গে আর্থিক ক্ষতিপূরণ ও চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন৷ মুখ্যমন্ত্রী জানান, ঘর মেরামতির জন্য আজই ১ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ আর্তদের হাতে তুলে দেওয়া হবে৷ প্রয়োজনে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হতে পারে৷ পাশাপাশি আরও ৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে৷ পাশাপাশি দশজনের পরিবারকে ১টি করে চাকরি দেওয়া হবে৷ কিন্তু প্রশ্ন হল নিরাপত্তা কোথায়? বগটুইয়ের সেই অভিশপ্ত পরিবারের সদস্য শেখ লাল বলেন, ‘দিদি যা বললেন, এবার তাই করতে হবে। টাকা দিলেন, চাকরিও দিলেন, কিন্তু নিরাপত্তা কোথায়?’ 

আরও পড়ুন- মমতাকে চালাচ্ছে অনুব্রতরা! রামপুরহাট কাণ্ডে বিস্ফোরক সেলিম

শেখ লালা জানান, গ্রামে ফিরতে এখনও ভয় পাচ্ছেন তাঁরা। তাঁর কথায়, “মুখ্যমন্ত্রী তো সামান্য কিছু দিয়ে আমাদের সন্তুষ্ট করলেন। চাপে পড়ে সবটাই আমাদের সহ্য করতে হল। এত লোক… গ্রামে ফিরতে হলে তো পুলিশকে যথাযথ নিরাপত্তা দিতে হবে৷”  মুখ্যমন্ত্রী বাগটুইয়ের গলি ছেড়ে এগোতেই স্বজনহারাদের ঘিরে ধরেন সাংবাদিকরা। তাঁদের প্রশ্ন করা হয়, আপনারা কি মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে সন্তুষ্ট?  ষাটোর্ধ্ব এক ব্যক্তি প্রশ্নের জবাব দিতে শুরু করেন৷ ঠিক তখনই ভিড় ঠেলে পিছন থেকে বেরিয়ে আসেন স্বজনহারা এক মহিলা। তিনি বললেন, “আমি মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় খুশি হতে পারিনি। আমাদের যে রকম ঘর ছিল, আমাদের যে আত্মীয় ছিল, সেই সবকিছু ফিরে পেতে চাই। টাকা পয়সা কিচ্ছু চাই না।” কথাগুলো বলতেই অনান্য গ্রামবাসীরা তাঁকে সরিয়ে নিয়ে যান৷