কলকাতা: বগটুই গ্রামের ঘটনার পর্যবেক্ষণে আজ সেখানে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর এই সফরে সঙ্গী হয়েছিলেন বীরভূমের নেতা অনুব্রত মণ্ডল। যখন নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী তখনও তাঁর পাশেই ছিলেন ‘কেষ্ট’। তাঁর সামনেই বগটুই ঘটনা কড়া ভাবে সাজানোর নির্দেশ দেন মমতা। এই বিষয় নিয়েই এবার আক্রমণ শানালেন সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম। তিনি দাবি করলেন, অনুব্রতরাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চালনা করেন। কেন এমন বললেন তিনি?
আরও পড়ুন- মুখ্যমন্ত্রীর দিকে আঙুল, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের দাবি! বগটুই মামলার শুনানিতে ঘটল অনেক কিছু
সেলিমের বক্তব্য, আগে অনুব্রত মণ্ডল সহ একাধিক গুণ্ডাদের নিয়ন্ত্রণ করতেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন হয় ঠিক উলটোটা। তাঁকে নিয়ন্ত্রণ করে এঁরা। জায়গায় জায়গায় তোলাবাজি, শাসানি চলছে। দেউচা পাচামি দেখিয়ে, আদিবাসীদের তাড়িয়ে আদানিদের থেকে যে টাকার ছক কষা হচ্ছে। কোনও কিছুই নাকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিয়ন্ত্রণে নেই, এমনই দাবি তাঁর। আসলে আজ যখন মমতা সব নির্দেশ দিচ্ছেন তখন ঘাড় নেড়ে, মাথা নেড়ে ইতিবাদক ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। বিরোধী পক্ষের বক্তব্য, ঘটনা দেখে মনে হচ্ছে, পুলিশ নয়, অনুব্রত নিজেই লোক দিয়ে কেস সাজাবে। বীরভূমে তাঁর অঙ্গুলিহেলন ছাড়া কিছুই হয় না সবাই জানে। এখানেও তাই হয়েছে বলে দাবি তাদের।
বগটুই গ্রামে গিয়ে যার নামে মূল অভিযোগ সেই আনারুলকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দিয়েছিলেন মমতা। তিনি গ্রেফতারও হয়েছেন। কিন্তু তাঁর এই গ্রেফতারি নিয়ে এখন তৃণমূলেই দ্বন্দ্ব। অনুগামীদের দাবি, আনারুলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে৷ তাঁদের কথায়, আনারুল ভালো লোক৷ এরই মধ্যে আনারুলের ভাইপো আলি হায়দারের বিস্ফোরক অভিযোগ, অনুব্রত মণ্ডল তাঁর জ্যাঠুকে মিথ্যে অভিযোগে ফাঁসিয়েছে৷ অনুব্রত মণ্ডলকে এর জবাব দিতে হবে৷