মন্ত্রিত্ব হারিয়ে মুকুল রায় ও AITC-কে টুইটারে ফলো বাবুলের! জল্পনা বাড়ালেন সাংসদ

মন্ত্রিত্ব হারিয়ে মুকুল রায় ও AITC-কে টুইটারে ফলো বাবুলের! জল্পনা বাড়ালেন সাংসদ

9596a145e9b199a032183cd93b2ae2fe

কলকাতা:  মন্ত্রিত্ব হারানোর পর থেকেই জল্পনার কেন্দ্রে বাবুল৷ কেন্দ্রের ‘নির্দেশে’ ইস্তফা দেওয়ার পর থেকেই বেসুরো আসানসোলের সাংসদ৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর একের পর এক পোস্ট ঘিরে ঘনীভূত রহস্য৷ এরই মধ্যে জল্পনা বাড়িয়ে মোদীর প্রাক্তন মন্ত্রী টুইটারে ফলো করতে শুরু করেলেন মুকুল রায় ও তৃণমূল কংগ্রেসকে৷ বিজেপি’তে থাকার সময় মুকুল রায়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ভালই ছিল৷ তবে দলত্যাগের পর মুকুলকে টুইটারে ফলো করতে শুরু করা যথেষ্ট ইঙ্গিতবাহী বলে মনে করা হচ্ছে৷

আরও পড়ুন- আজই দলবেঁধে সব চেয়ারম্যান পদে ইস্তফা বিজেপি’র, শুভেন্দুর নেতৃত্বে যাবেন রাজভবন

মোদীর মন্ত্রিসভায় সাম্প্রতিক রদবদলে মন্ত্রিত্ব খুইয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়৷ এর পর থেকেই বেসুরো তিনি৷ মন্ত্রিত্ব হারানোর পরেই ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্টে বাবুল লিখেছিলেন, ‘কোথাও ধোঁয়া দেখা গেল আগুনও নিশ্চই থাকবে৷ হ্যাঁ আমাকে ইস্তফা দিতে বলা হয়েছে৷ আমি ইস্তফা দিয়েছি৷’’ তাঁর প্রতিটি পোস্টের পরতে পরতে দলের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ পেয়েছে৷ কখনও আবার রাজ্যসভাপতির মন্তব্য নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা৷ টুইট করে বাবুল লেখেন, ‘‘রাজ্য সভাপতি হিসাবে মনের আনন্দে দীলিপদা অনেক কিছু বলেন৷ আবারও বললেন, আমি শুনলাম৷ কিন্তু এই উক্তিটি কেন করলেন সেটা যদি এবারকার জন্য আমি স্বজ্ঞানে বুঝেও না বুঝি তো ক্ষতি কী?’’ তিনি আরও লেখেন, ‘‘আমার হাঁফ ছেড়ে বাঁচাতে’ দিলীপদা আনন্দ পেয়েছেন৷ আবার তাঁর টুইটার বায়োতে লিখেছেন, ‘‘আমি সিঙ্গার বাই হার্ট৷ তার পর প্রাক্তন ব্যাঙ্কার ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী৷ কাজ করতে রাজনীতিতে এসেছি, ভালোবেসে নয়৷’’ তাই সব কিছু ছাপিয়ে আপাতত নজরে তাঁর টুইটার তৎপরতা৷ 

আরও পড়ুন- ‘বেসুরো’দের নিয়ে নাড্ডার কাছে নালিশ দিলীপের! পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি

জানা গিয়েছে অনেক দিন ধরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফলো করেন বাবুল৷ সেই তালিকায় এবার যুক্ত হল অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেস৷  শুধু তাই নয়, বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন করা মুকুল রায়কেও ফলো করতে শুরু করেছেন মোদী মন্ত্রিসভার প্রাক্তন মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়৷ রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে কীসের ইঙ্গিত দিচ্ছেন আসানসোলের সাংসদ? এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘কে কাকে ফলো করছে তা দেখে দল চলে না৷ আমি পার্টিকেই ফলো করি৷ তাই কে কাকে ফলো করছে বলতে পারব না৷’’ 

তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, সরাসরি কিছু না বললেও মন্ত্রিত্ব হারিয়ে বাবুল যে একেবারেই খুশি নন তা তাঁর ফেসবুক পোস্টেই স্পষ্ট৷ অন্যদিকে বাবুল মন্ত্রিত্ব থেকে সরতেই মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘বাবুল খারাপ হয়ে গিয়েছে৷ রাজবংশী যে মহিলা মন্ত্রী ছিলেন, তাঁকেও ইস্তফা দিতে বলেছে৷ বিনাশ কালে বুদ্ধিনাশ হয়৷’ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *