কুলপি: শুক্রবার সকলকে এক প্রকার স্তম্ভিত করে আচমকা ইস্তফা দেন রাজ্যসভার সাংসদ দীনেশ ত্রিপাঠী। তিনি বলেন, অন্তরাত্মার ডাকে সাড়া দিয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দলের অন্দরে দম বন্ধ হয়ে আসছিল তাঁর। এদিন কুলপি’র জনসভা থেকে নাম না করে দীনেশ ত্রিবেদীকে বিঁধলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বললেন, এখন বড় বড় ভাষণ দিচ্ছেন৷ বলছেন, তৃণমূলে কাজ করতে গিয়ে দম বন্ধ হয়ে আসছে৷ আর দমবন্ধ হয়ে আসছে বলে বিজেপি’র আইসিইউ-তে গিয়ে ভর্তি হচ্ছে৷ আগামী দিনে মানুষ দম বন্ধ করে দেবে৷
আরও পড়ুন- উত্তরপ্রদেশের গুটখার থুতু বাংলার লোহার জং ধরাতে পারবে না! আক্রমণ অভিষেকের
ছন্দ মিলেয়ে অভিষেকের তোপ, ‘চলবে না অন্যায়, টিকবে না ফন্দি, জনগণের আদালতে হতে হবে বন্দি৷’ তিনি বলেন, বাংলার মানুষ জবাব দেবে৷ যারা বাংলার আবেগ ভালোবাসা, বিশ্বাস, অহংকার দিল্লির হাতে বিক্রি করছে, মানুষ তাঁদের যোগ্য জবাব দেবে৷ সেই সঙ্গে বিজেপি’র বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থেকে লড়াই করার ডাক দেন অভিষেক৷ দক্ষিণ ২৪ পরগণায় ৩১ শে ৩১ করার হুঙ্কার দেন তিনি৷
অভিষেক বলেন, ‘‘আজকের জনসভায় তিনটি বিধানসভা থেকে লোক এসেছে৷ কুলপি, মন্দিরবাজার এবং রায়দীঘি৷ যে সংখ্যাক মানুষ এই জনসভায় উপস্থিত হয়েছেন, তাঁরা যদি আগামী দিনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে বাংলার স্বার্থে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করেন তাহলেই মীরজাফর অ্যান্ড কোম্পানির জামানত বাজেয়াপ্ত হয়ে গিয়েছে৷ ২৫০-এর বেশি আসন পেয়ে তৃতীয়বারের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন বলেও বিশ্বাসী তিনি৷
আরও পড়ুন- ‘মমতার ১টা ইঞ্জিনের মোকাবিলা করতে ৫০০ ইঞ্জিন নামাতে হচ্ছে বিজেপির’, কটাক্ষ অভিষেকের
বিজেপি’কে এক হাত নিয়ে তিনি বলেন, মালদায় স্কুলের বাচ্চাদের টাকা দিয়ে ব়্যালিতে আনা হচ্ছে৷ ৩০০ টাকা করে দেওয়া হয়েছে তাদের৷ তাতেও মাঠ ভরাতে পারছে না৷ ছাত্র থেকে শুরু করে বিধায়ক, সকলকে কিনছে৷ ভাবছে টাকা দিয়ে কিনে ভোট হবে৷ কিন্তু বাংলার মানুষের ভোট কী ভাবে কিনবে ওরা? প্রশ্ন তোলেন অভিষেক৷
এদিন অমিত শাহকেও এক হাত নেন তৃণমূল সাংসদ৷ বলেন, ‘‘অমিত শাহ বলছেন তৃণমূল কংগ্রেস কে উপড়ে ফেলবে৷ অমিত শাহজি কী ভাবে উপড়ে ফেলবেন? তৃণমূল কংগ্রেস কী কোনও হোর্ডিং, ব্যানার না পোস্টার? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের মনে বাস করেন৷ মানুষের মন থেকে কী ভাবে উপড়ে ফেলবেন তাঁকে? মানুষের মন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরানো যাবে না৷ আগামী ৫০ বছর বাংলার মাটিতে তৃণমূল কংগ্রেস থাকবে৷’’