শালবনি: বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট গ্রহণ পর্বের ৩ ঘন্টাও হয়নি তার আগেই বিভিন্ন জেলার একাধিক জায়গা থেকে হামলার খবর উঠে আসছে। তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ, বোমাবাজি থেকে শুরু করে সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলা ঘটে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। এদিকে জানা গেছে শালবনিতে চরম উত্তেজনা ছড়িয়েছে সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত সিপিআইএম প্রার্থী সুশান্ত ঘোষকে কেন্দ্র করে। তাঁকে ঘিরে তৃণমূলের কর্মী এবং সমর্থকরা ব্যাপক বিক্ষোভ দেখিয়েছে বলে খবর। একইসঙ্গে তাঁর গাড়ি ভাঙচুর থেকে শুরু করে সুশান্ত ঘোষকে কঙ্কালকাণ্ডের নায়ক বলে কটাক্ষ পর্যন্ত করা হয়।
আরো জানা গিয়েছে, সিপিআইএম প্রার্থী সুশান্ত ঘোষের গাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি আক্রান্ত হয়েছে সংবাদ মাধ্যম। গোটা ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। হামলার ঘটনার প্রেক্ষিতে শালবনির সিপিআইএম প্রার্থী সুশান্ত ঘোষ জানাচ্ছেন, শালবনির বিভিন্ন বুথে সংযুক্ত মোর্চার এজেন্টের বসতে দেওয়া হচ্ছেনা এবং তাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এই এজেন্ট বসানোকে কেন্দ্র করে একাধিকবার তৃণমূল এজেন্টের সঙ্গে বচসা জড়িয়েছেন সিপিআইএম প্রার্থী। তিনি আরো অভিযোগ করছেন, বাইরে থেকে এজেন্ট নিয়ে এসে বুথে বসানো হচ্ছে। এদিকে ইতিমধ্যেই, পটাশপুরে রাতভর বোমাবাজি হয়েছে। তৃণমূল এবং বিজেপি সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে বোমার আঘাতে গুরুতর জখম হয়েছেন পটাশপুর থানার ওসি। অন্যদিকে ঝাড়গ্রামে আহত হয়েছেন তৃণমূল কর্মী এবং যার দায় গিয়ে পড়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি শিবিরের উপর।
আরও পড়ুন: জেলায় ১৬-০ হবে! মমতাকে পাত্তাই দিচ্ছেন না শিশির
মাওবাদী কায়দায় হামলার ঘটনা ঘটে গিয়েছে ইতিমধ্যেই! জানা গিয়েছে পুরুলিয়ার বান্দোয়ানে মাওবাদী কায়দায় জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে ভোট কর্মীর গাড়ি। যদিও এই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। গতকাল রাতে ঝাড়খন্ড সীমান্তের কাছে পুরুলিয়ার বান্দোয়ানে এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ভোট কর্মীদের একটি গাড়ি বুথের দিক থেকে ফিরছিল ভোট কর্মীদের বুথে নামিয়ে। সেই গাড়িকে থামানোর জন্য বেশ কয়েকজন এগিয়ে আসে, তাদের মুখে কালো কাপড় বাঁধা ছিল। গাড়ি থামিয়ে চালককে নিচে নামিয়ে রাসায়নিক ছুড়ে গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। যতক্ষণে কেন্দ্রীয় বাহিনী এলাকায় আসে ততক্ষণে পালিয়ে যায় তারা।