জেলায় ১৬-০ হবে! মমতাকে পাত্তাই দিচ্ছেন না শিশির

জেলায় ১৬-০ হবে! মমতাকে পাত্তাই দিচ্ছেন না শিশির

কাঁথি: ছেলে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যাওয়ার পর একে একে পরিবারের দুই সদস্য এখন প্রত্যক্ষভাবে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তাদের মধ্যে হয়তো সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি তিনি, তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ শিশির অধিকারী। আজ থেকে শুরু হয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনের সবচেয়ে হেভিওয়েট কেন্দ্র অবশ্যই নন্দীগ্রাম কারণ এখানে সম্মুখসমরে শুভেন্দু অধিকারী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও এই বিষয়টিকে একেবারেই গুরুত্ব দিতে নারাজ শিশির অধিকারী কারণ তিনি সরাসরি বলেছেন, জেলায় ১৬-০ হবে! এক্ষেত্রে তিনি অবশ্য দায়ী করছেন ‘রাজপুত্র’কে। উল্লেখ্য, ওই এলাকায় জনসভা করতে গিয়ে নাম না করে অধিকারী পরিবারকে আক্রমণ করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘তুই-তোকারি’ করতে শোনা গিয়েছিল তাঁকে।

প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাস নিয়ে শিশির অধিকারী দাবি করছেন, যেদিন ‘রাজপুত্র’ ওই সভা করে গিয়েছেন, সেদিনই জেলায় জয়-পরাজয় নিশ্চিত হয়ে গেছে। শিশিরের বক্তব্য, সেই দিন সাধারণ মানুষের বিচার করে নিয়েছেন যে কাদের ভোট দেবেন, আর দেবেন না। এদিকে নন্দীগ্রাম আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি স্পষ্ট জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যদি হাত ধরে নিয়ে না আসা হত তাহলে তিনি কোলাঘাট পর্যন্ত টপকাতে পারতেন না! এখন এখানে ভোট চাইতে এসেছেন। শিশিরের আরো সংযোজন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পায়ের আঘাতে নাটক করছেন কিন্তু তাতে কোন লাভ হবে না। এখানে একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের কিছু ছেলেরা নাকি হোটেল ভাঙচুর করছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। সব মিলিয়ে শিশিরের দাবি, জেলায় তৃণমূল কংগ্রেস কখনোই জিততে পারবে না, সেই ভয় পেয়েই জায়গায় জায়গায় আতঙ্ক সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে ঘাসফুল শিবির। 

আরও পড়ুন: মাওবাদী কায়দায় হামলা! জ্বালানো হল ভোট কর্মীর গাড়ি

বেনজির ভাবে রাজ্যে আট দফায় হতে চলেছে বিধানসভা নির্বাচন৷ চলবে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত৷ দ্বিতীয় দফায় ৩০টি কেন্দ্রে ভোট হবে পয়লা এপ্রিল৷ আগামী ৬ এপ্রিল তৃতীয় দফায় ৩১টি আসনে ভোট হবে৷ চতুর্থ দফায় ৪৪টি আসনে ভোট হবে আগামী ১০ এপ্রিল৷ আগামী ১৭ এপ্রিল পঞ্চম দফায় ৪৫ আসনে ভোট৷ ২২ এপ্রিল ষষ্ঠ দফায় ৪৩টি আসনে নির্বাচন৷ আগামী ২৬ এপ্রিল সপ্তম দফায় ৩৬টি আসনে ভোট৷ অষ্টম তথা শেষ দফায় ভোট হবে ২৯ এপ্রিল৷ শেষ দফায় ভোট হবে ৩৫টি কেন্দ্রে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *