হাঁসখালি কাণ্ড: গ্রেফতার কিশোরীর প্রেমিক সহ ২, অনেকের গোপন জবানবন্দি

হাঁসখালি কাণ্ড: গ্রেফতার কিশোরীর প্রেমিক সহ ২, অনেকের গোপন জবানবন্দি

কলকাতা: হাঁসখালি ঘটনায় তদন্তের তৎপরতা আরও বাড়ছে। রাতভর জেরার পর অবশেষে গ্রেফতার করা হয়েছে নির্যাতিতা ওই কিশোরীর প্রেমিক তথা তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলে সোহেলকে। এছাড়া তার দু’জন বন্ধুকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ বলে জানা গিয়েছে। কে বা কারা সেদিন সোহেলের জন্মদিনের পার্টিতে ছিল, পার্টি শেষে কে নির্যাতিতাকে তার বাড়িতে পৌঁছে দিল, এখন এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ব্যস্ত পুলিশ। এদিকে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতার মা, শ্মশানের দায়িত্বে যে ছিল, এমনকি রাতে যে চিকিৎসকের ডাক পড়েছিল তাদের সবাই গোপন জবানবন্দি দেবেন।

আরও পড়ুন: নাবালিকাকে ধর্ষণ তৃণমূল নেতার ছেলের! রাতভর রক্তক্ষরণে মৃত্যু! শ্মশানে গিয়ে তথ্য লোপাটের চেষ্টা

হাঁসখালির এই ঘটনায় এখন রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে বাংলায়। অনেকেই উত্তরপ্রদেশের হাথরসের ঘটনার সঙ্গে এর তুলনা টেনে আক্রমণ করছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে। যেহেতু এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলে, তাই স্বাভাবিকভাবেই বড় অস্বস্তিতে শাসক শিবির। ইতিমধ্যেই বিজেপির ডাকে ১২ ঘণ্টার বনধ চলছে সেখানে। যান চলাচল মোটামুটি স্বাভাবিক হলেও দোকান-পাট বন্ধ রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারাও ব্যাপক ক্ষোভ দেখিয়ে প্রতিবাদ দেখাচ্ছেন। বিজেপির প্রতিনিধি দল সেখানে যাবে বলেও খবর। বড় বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে মৃতদেহ দাহ করা নিয়ে। কী ভাবে মৃত্যুর পরে বৈধ শংসাপত্র ছাড়াই নাবালিকার দেহ দাহ করা হল তা বোঝা সম্ভব হচ্ছে না। তবে এটা স্পষ্ট যে, ডাক্তারের দেওয়া ‘ডেথ সার্টিফিকেট’ ছাড়া যদি মৃতদেহ সৎকার হয়ে থাকে, তাহলে তার দায় স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের। এক্ষেত্রে দোষের ভাগীদার তাদেরই হতে হবে।

হাঁসখালিতে যে নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ তার ধর্ষণের জেরে তীব্র রক্তপাত হয়। মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে ওই নাবালিকা৷ এরপরই অভিযোগ তোলা হয়, প্রমাণ লোপাটের জন্য পরিবারকে হুমকি দেখিয়ে নাবালিকার শব দাহ করে ফেলা হয়েছে। বিজেপি এই ইস্যুকে হাতিয়ার করে ইতিমধ্যেই বাংলার আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে আবার প্রশ্ন তুলেছে। সব মিলিয়ে বিরাট চাপানউতোর রাজ্য জুড়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *