শৈশবের ছোঁয়া পেতে আচমকা স্কুলে হাজির অরিজিৎ! ইংরেজির দিদিমণির পা ছুঁয়ে প্রণাম

শৈশবের ছোঁয়া পেতে আচমকা স্কুলে হাজির অরিজিৎ! ইংরেজির দিদিমণির পা ছুঁয়ে প্রণাম

কলকাতা: মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জ৷ বাণিজ্যনগরীর ঝাঁ চকচকে দুনিয়া থেকে কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরে এই ছোট্ট শহরেই জন্ম তাঁর৷ আরব সাগরের তীরে কাজের দুনিয়া হলেও ভাগীরথীর পারে এলে তিনি ফিরে যান নিজের ছোটবেলার দুনিয়ায়৷ ঢোলা পাজামা পরে দু’চাকায় সওয়ার হয়ে এলাকায় চরকি পাক খাওয়াটা তাঁর অভ্যেস। জিয়াগঞ্জের পথে ঘাটে জড়িয়ে থাকা শৈশবের স্মৃতিগুলোকে আরও একবার ছুঁয়ে দেখতে বড্ড ভালোবাসেন তিনি৷ বলিউডের সেই বিখ্যাত গায়ক অরিজিৎ সিং এবার আচমকা হাজির তাঁর ছেলেবেলার স্কুল রাজা বিজয় সিংহ বিদ্যামন্দিরে৷ ইংরেজির দিদিমণির পায়ের কাছে বসে তিনি যেন কোনও শিশু৷ তাঁর এই সরলতা বারবার মুগ্ধ করেছে নেটিজেনদের৷ গায়ক ও তাঁর শিক্ষিকার এই ছবি এখন নেটপাড়ায় ভাইরাল৷ 

আরও পড়ুন- লন্ডনে পুত্র সন্তানের জন্ম দিলেন সোনম? হাসপাতালের ছবি নিয়ে তোলপাড় নেটপাড়া

অরিজিতের কণ্ঠের জাদুতে মুদ্ধ আট থেকে আশি৷ কিন্তু, সেই অরিজিৎই আদ্যন্ত সাদামাটা৷ সম্প্রতি একটি কনসার্টে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের বিখ্যাত গান ‘কেন পিছু ডাকো বারে বারে’ গেয়ে ভালোবাসা-প্রশংসা কুড়িয়েছেন গায়ক। খ্যাতির শিখরে পৌঁছলেও তিনি বারবার ছুটে এসেছেন শিকড়ের টানে৷ গ্রামের বাড়িতেই যেন লুকিয়ে তাঁর প্রাণভোমরা।  বিদেশে সদ্য গানের কনসার্ট শেষ করেই তাই ছুটে এসেছেন জিয়াগঞ্জে৷ আর গ্রামে এসেই পায়ে হাওয়াই চটি গলিয়ে তিনি সোজা চলে যান নিজের স্কুলে। শিক্ষকদের বসার ঘরে ঢুকেই দেখা হয় ইংরেজি শিক্ষিকা সুনীতা লাহিড়ির সঙ্গে৷ ব্যাস, সঙ্গে সঙ্গে ছুটে গিয়ে শিক্ষিকার পা ছুঁয়ে প্রণাম করেন অরিজিৎ। পুরনো ছাত্রকে দেখে তখন আবেগে আপ্লুত ইংরেজির দিদিমণি। ছাত্র পা ছুঁয়ে নমস্কার করতেই তিনি মাথায় হাত রেখে আশির্বাদ করেন অরিজিৎ-কে৷  তার পর বেশ কিছু ক্ষণ দু’জনে গল্প করেন সেখানে বসে৷ 

ক্লাস ফাইফ থেকে এই স্কুলে পড়াশোনা করেছেন অরিজিৎ৷ অরিজিৎ আজ অনেক বড় গায়ক৷ জগৎজোড়া খ্যাতি তাঁর৷ কিন্তু তাঁর মধ্যে থেকে হারিয়ে যায়নি সারল্য৷ সুনীতা লাহিড়ি প্রথমসারির এক সংবাদমাধ্যমে বলেন, গত বৃহস্পতিবার স্কুলে এসেছিলেন অরিজিৎ৷ ও অনেক বড় শিল্পী৷ মানুষ হিসাবেও খুব ভালো৷ শিক্ষিকা এবং ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কত সহজে মিশে গেল! ভীষণই ডাউন টু দ্য আর্থ। ওঁর সঙ্গে কথা বলে আমাদের সকলেরই খুব ভাল লেগেছে। ছাত্র যত বড়ই হোক না কেন, সে তো আমাদের কাছে ছাত্রই।