কলকাতা: কেঁচো খুঁড়তে কেউটে! গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ১ কোটি টাকার লটারির রহস্য ভেদে নেমে সিবিআই-এর হাতে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য৷ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে দাবি, একটি নয়, তদন্তে নেমে তিনটি লটারির টাকার হদিশ পেয়েছেন তাঁরা৷ অনুব্রত-কন্য সুকন্যার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দু’-দু’বার লটারির টাকা ঢুকেছে৷ টাকার অঙ্কটাও বেশ মোটা৷ তাঁর অ্যাকাউন্টে দু’দফায় প্রায় ৫১ লক্ষ টাকা ঢুকেছে বলে দাবি সিবিআই-এর৷
আরও পড়ুন- আজ বছরের শেষ চন্দ্রগ্রহণ, কলকাতার আকাশে কখন দেখা যাবে গ্রহণ? জেনে নিন
এর আগে ২০১৯ সালে অনুব্রতর একটি অ্যাকাউন্টে লটারির ১০ লক্ষ টাকা ঢুকেছিল বলে জানতে পেরেছে সিবিআই৷ কাকতালীয় ভাবে বারবার লটারির টাকা ঢুকেছে একই পরিবারে৷ তবে কি লটারির মাধ্যমেই গরু পাচারের কালো টাকা সাদা করার কৌশল নেওয়া হয়েছিল? উত্তর খুঁজছে কন্দ্রীয় গোয়েন্দারা৷ অনুব্রতর আত্মীয়দের নামেও কোনও লটারির টাকা ঢুকেছে কিনা, তাঁদের নামে লটারি কেনা হয়েছিল কিনা, সেদিকেও নজর রয়েছে সিবিআই-এর৷
গত বছর ডিসেম্বর মাসে একটি লটারিতে ১ কোটি টাকা জিতেছিলেন কেষ্ট৷ সেই লটারির রহস্যভেদ করতে গিয়েই আরও অনেক রহস্য উঠে এল৷ সিবিআই গোয়েন্দারা জানতে পারেন, এর আগে দু’বার সুকন্যার অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে৷ একটি লটারির রহস্য উন্মোচনে নেমে মিলল আরও দুটো লটারির খোঁজ৷ সাধারণ মানুষ লটারিতে ভাগ্য ফেরাতে গিয়ে কখনও কখনও সর্বস্বান্তও হন, সেখানে অনুব্রতর চওড়া কপালের নেপথ্যে গভীর রহস্যই দেখছেন সিবিআই কর্তারা৷
গত সপ্তাহে বোলপুরে লটারির দোকানে হানা দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। লটারির টিকিটের নম্বরের সূত্র ধরেই একাধিক লটারির টিকিট বিক্রেতার সঙ্গে তাঁরা কথা বলেন৷ যে লটারি বিক্রেতা ওই টিকিটটি বিক্রি করেছিলেন, তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়৷ কিন্তু তাঁর দাবি, তিনি ওই টিকিট অনুব্রত মণ্ডলকে বিক্রি করেননি৷ তবে অনুব্রত যে লটারিতে ১ কোটি টাকা জিতেছেন, তা সর্বজনবিদিত। গরুপাচারের তদন্তে নেমে সেই লটারির রহস্য ভেদে নেমেছেন গোয়েন্দারা৷ অনুব্রত তো বটেই, তাঁর পরিবারের সদস্যদের অ্যাকাউন্টও খতিয়ে দেখা শুরু করেন তাঁরা। দেখা যায় সুকন্যার অ্যাকাউন্টে একবার ২৫ লক্ষ এবং একবার ২৬ লক্ষ টাকার লটারি ঢুকেছে৷
সিবিআই আধিকারিকদের অনুমান, অন্য কারও জেতা লটারির টিকিট নগদ টাকায় কিনে নিয়ে তা অনুব্রত বা সুকন্যার নামে ভাঙানো হয়েছে৷ আর এভাবেই গরু পাচারের কালো টাকা সাদা করার চেষ্টা চলেছে৷ লটারির রহস্য ভেদে আসানসোল জেলে গিয়ে অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে৷ কিন্তু, যাথারীতি সহযোগিতা করেননি তিনি৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>