কলকাতা: গরু পাচারকাণ্ডে সিবিআই তৎপরতার মাঝেই শিরোনামে প্রাথমিক স্কুলে অনুব্রত-কন্যার বেআইনি নিয়োগের মামলা৷ অভিযোগ, টেট পরীক্ষা না দিয়েই প্রাথমিক স্কুলে চাকরি পেয়েছেন সুকন্যা মণ্ডল৷ বৃহস্পতিবার হাসপাতাল যাওয়ার পথে প্রথমবার মেয়েকে নিয়ে মুখ খুললেন বীরবূমে তৃণমূল জেলা সভাপতি৷ তিনি বসেন, ‘‘আমার মেয়ে সব পাশ করেছে। সব সার্টিফিকেট আছে।’’
আরও পড়ুন- শুধু চাকরি ‘বিক্রি’ নয়, অন্য সূত্র ধরেও জমেছে নগদের পাহাড়! সন্দেহ ED-র
এদিন কমান্ড হাসপাতালে যাওয়ার পথে তিনি বলেন, ‘‘যা বোঝার আদালত বুঝবে। ওকে তলব করেনি৷ নথি জমা দিতে বলেছে।’’ গরুপাচার মামলায় অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার পরেই সিবিআই-এর নজরে অনুব্রত কন্যা সুকন্যার বিপুল সম্পত্তি৷ এরই মধ্যে কলকাতা হাই কোর্টে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তিনি টেট না দিয়েই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি পেয়েছেন৷ শুধু তাই ন, চাকরি পাওয়ার পর থেকে একদিনের জন্যেও স্কুল যাননি সুকন্যা৷ তাঁর নামে থাকে একটা ফেসবুক প্রোফাইল থেকে জানা গিয়েছে, তিনি একই সঙ্গে দু’টি চাকরি করেন। একটি সরকারি, অন্যটি বেসরকারি। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে আইনজীবী ফিরদৌস শামিম অতিরিক্ত হলফনামা জমা দিয়ে সুকন্যার চাকরির বেনিয়ম সম্পর্কে আদালতকে অবহিত করেন। সেটা শোনার পরই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার বেলা ৩টের মধ্যে সুকন্যাকে কলকাতা হাই কোর্টে আসার নির্দেশ দেন। বৃহস্পতিবার সকালেই বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়ি থেকে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন অনুব্রত-কন্যা। ইতিমধ্যেই তিনি কলকাতায় পৌঁছে গিয়েছেন৷
বুধবার অনুব্রতের ব্যক্তিগত হিসাবরক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদের পর বোলপুরে নিচুপট্টির বাড়িতে সুকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পৌঁছন সিবিআই আধিকারিকরা। তবে তদন্তকারীদের সঙ্গে তিনি কথা বলতে চাননি৷ জানান, তাঁর মানসিক অবস্থা ভালো নেই৷ এর পরেই কলকাতা হাই কোর্টে অভিযোগ জমা পড়ে যে, টেটে উত্তীর্ণ না হয়েই প্রাথমিক স্কুলে চাকরি পেয়েছেন সুকন্যা সহ অনুব্রতর আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠ আরও ৫ জন৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>