বোলপুর: বীরভূমে তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকে দিল্লিতে তলব করেছিল ইডি৷ বাবার মুখোমুখি বসিয়ে মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ করাটাই ছিল ইডি-র উদ্দেশ্য৷ একইসঙ্গে তলব করা হয়েছিল হিসাব রক্ষক মণীশ কোঠারিকেও৷ সেই তলবে সাড়া দিয়ে মঙ্গলবার হাজিরা দেন কেষ্টর হিসাব রক্ষক৷ দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি৷ বুধবার হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল সুকন্যার৷ কিন্তু তিনি ইডি অফিসে হাজিরা দিতে পারছেন না৷ সূত্রের খবর, ইডি আধিকারিকদের কাছে ইতিমধ্যেই আইনজীবী মারফত একটি চিঠি পাঠিয়ে সে কথা জানিয়ে দিয়েছেন সুকন্যা। বুধবার এ প্রসঙ্গে অবশ্য কোনও মন্তব্য করেননি কেষ্ট-কন্যা৷ তবে সুকন্যাকে যেনতেন ভাবে দিল্লিতে চায় ইডি। এখন ইডি-র তরফে কী প্রতিক্রিয়া আসে, সেটাই দেখার।
আরও পড়ুন- দুর্নীতি আড়াল করা নয়? মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে গর্জে উঠল ‘শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চ’
সুকন্যা কেন ইডি-র দফতরে হাজিরা দিতে পারছেন না তার কার্য এবং কারণ কী, তা অবশ্য এখনও জানা যায়নি। এদিকে, আসানসোল জেল থেকে অনুব্রত ঠাঁই এখন দিল্লিতে৷ সেখানে ইডির হেফাজতে রয়েছেন তিনি। গরু পাচার মামলার রহস্য ভেদে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির সঙ্গে বাকি অভিযুক্তদের মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থার। কেষ্টকে হেফাজতে চাওয়ার সময়েই ইডি-র তরৎে আদালতে জানানো হয়েছিল, অনুুব্রতর মেয়ে সুকন্যা, হিসাবরক্ষক মণীশ-সহ ১২ জনকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় তারা।
ইডি সূত্রে খবর, এই তালিকায় সুকন্যা ছাড়াও রয়েছেন সুকন্যার গাড়িচালক তুফান মির্ধা, অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কৃপাময় ঘোষ, অনুব্রতর বাড়ির পরিচারক বিজয় রজক৷ এ ছাড়াও অনুব্রতর মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে তাঁর সহায়ক অর্ক দত্ত, অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত প্রধান শুভঙ্কর সাধু, অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কাউন্সিলর বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়, অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ তৃণমূলকর্মী তাপস মণ্ডল-সহ আরও বেশ কয়েক জনকে৷ সেই সূত্রেই মঙ্গলবার ডেকে পাঠানো হয়েছিল মণীশকে। টানা জিজ্ঞাসাবাদের পরেই তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। এর পরই বুধবারের হাজিরা এড়ালেন সুকন্যা।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>