রামপুরহাট: বগটুই কাণ্ড নিয়ে এখন ব্যাপক চাপে রয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। কারণ গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলেই এই ঘটনা ঘটেছে তা যেন ক্রমশ প্রকাশ পাচ্ছে। তৃণমূল নেতা আনারুল গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই এবার বীরভূমের নেতা অনুব্রত মণ্ডলের ওপর চাপ বাড়তে শুরু করেছে। আনারুলের মতো তাঁকেও অভিযোগের কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে। এবার তাঁর বিরুদ্ধে আরও বড় অভিযোগ এল। বগটুইয়ের বাসিন্দা নাজমা বিবির স্বামী শেখলাল বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন।
আরও পড়ুন- বিধানসভায় হট্টগোল! পাহাড় থেকে ফোনে খোঁজ নিলেন মমতা
অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হয়ে এক সপ্তাহ ধরে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ার পর আজ মৃত্যু হয় নাজমার। তাঁর স্বামী শেখলাল দাবি করেছেন, অগ্নিকাণ্ডের সময় পুলিশকে গ্রামে ঢুকতে বাধা দিয়েছেন ধৃত তৃণমূল নেতা আনারুল হোসেনই। অন্যদিকে, ভাদুর কালোবাজারির যে টাকা তা ভাগ হত আনারুল, আইসি, এসডিপিও এবং অনুব্রতর মধ্যে! তাঁর কথায়, ভাদু খুন হওয়ার পর তার লোকজনই আগুন লাগায় বাড়িতে বাড়িতে। ভাদু আসলে কয়লা, বালির কালোবাজারি করত। ওর সঙ্গে আরও ৫০ জন মতো ছিল, তারা সবাই এখন উধাও। এর আগে বিজেপিও দাবি তুলেছিল যে তোলাবাজি করতে গিয়েই এই ঘটনা ঘটেছে। এর সঙ্গে জড়িয়ে তৃণমূল। এখন শেখলালের বক্তব্যে সেই বিষয়টাই যেন স্পষ্ট হচ্ছে।
যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। তিনি বলছেন, শেখলাল বলে কাউকে চেনেন না তিনি। আর যদি তিনি এইসব কিছু বলে থাকেন তবে তা কারোর শেখানো বুলি। সেটাই বলা হচ্ছে। তবে তাঁর স্ত্রীর মৃত্যুর খবর শোক প্রকাশ করেছেন তৃণমূলের কেষ্ট। এদিকে আবার বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু দাবি করেছেন, অনুব্রত মণ্ডলের মোবাইল পরীক্ষা করলেই সত্যিটা ধরা পড়ে যাবে৷ ওই দিন কতক্ষণ তিনি ফোনে এবং হোয়াটসঅ্যাপে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছিলেন, তা জানতে পারবেন তদন্তকারী অফিসাররা৷ প্রমাণ হয়ে যাবে পুলিশমন্ত্রীর নির্দেশেই সবটা হয়েছিল৷