কলকাতা: পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা এখনো পর্যন্ত প্রকাশ করতে পারেনি ভারতীয় জনতা পার্টির শিবির। আংশিক তালিকা প্রকাশ করার সঙ্গে সঙ্গে ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে ব্যাপক বিক্ষোভ। বহু জায়গার প্রার্থী পছন্দ হয়নি কর্মী এবং সমর্থকদের। এই পরিস্থিতিতে যেকোনোভাবে ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে মরিয়া বিজেপি শিবির। তাই জানা গিয়েছিল, এবার মুকুল রায় থেকে শুরু করে দিলীপ ঘোষ প্রার্থী হতে পারেন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে। ইতিমধ্যেই বাবুল সুপ্রিয়, লকেট চট্টোপাধ্যায়, নিশীথ প্রামানিক সাংসদ হয়েও প্রার্থী হয়েছেন বিধানসভায়। এবার জানা যাচ্ছে, বিজেপির প্রার্থী তালিকায় নাম ঢুকতে পারে আরও দুই সাংসদের। যদিও দিলীপ ঘোষ প্রার্থী হচ্ছেন না।
বিজেপি সূত্রের খবর, আজ চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে পারে দল। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে সেই তালিকায় থাকতে পারে রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার এবং বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের নাম। একইসঙ্গে কৃষ্ণনগর আসনের প্রার্থী হতে চলেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়। এদিকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের প্রার্থী হওয়ার কথা থাকলেও তিনি হচ্ছেন না বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন খোদ বিজেপি নেতা। এই মুহূর্তে প্রার্থী তালিকা নিয়ে যেভাবে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে তাতে আর বেশি নেতিবাচক পরিস্থিতি তৈরি করতে চাইছে না বিজেপি শিবির। কারণ রাজ্য সভাপতি ভোটে দাঁড়াবেন এই রীতি প্রচলিত নয় বিজেপিতে। তাই দিলীপ ঘোষকে প্রার্থী করা হলে নতুন করে সংশয় তৈরি হতে পারে দলের অন্দরে। তাই নতুন ভাবে কোনরকম ঝুঁকি নিতে চাইছে না দল।
আরও পড়ুন- পুরুলিয়ায় ‘জলসঙ্কট ভরা জীবন’ দিয়েছে তৃণমূল, ১০ বছরে একটা সেতুও হয়নি, তোপ নমোর
এর আগে জানা গিয়েছিল মুকুল রায় প্রার্থী হয়ে ভোটে লড়তে খুব একটা চান না। কিন্তু বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে একাধিক আলোচনার পর অবশেষে রাজি হয়েছেন তিনি। তাই কৃষ্ণনগর উত্তর থেকে তিনি যে প্রার্থী হবেন তা মোটামুটি পরিষ্কার। এদিকে শান্তনু ঠাকুরকে প্রার্থী কেন করা হচ্ছে তাও মোটামুটি পরিষ্কার। এক্ষেত্রে বিজেপির নজর মতুয়া ভোটের দিকে। তাই আপাতত যে নামগুলো সামনে আসছে তারা সবাই প্রার্থী তালিকায় ঠাঁই পান কিনা তা জানার জন্য আরো বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতেই হবে।