কলকাতা: ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে ফের মামলা করার আবেদন! ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চে মামলার অনুমতি চেয়ে বিচারপতিr দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন এক আইনজীবী। কলকাতা পুরসভার কমপক্ষে কুড়িজন কো-অর্ডিনেটরের( কাউন্সিলর) বিরুদ্ধে FIR দায়ের করার নির্দেশ দিক আদালত, এই মর্মে আবেদন করা হয়েছে। এই নতুন মামলাকে মূল মামলার সঙ্গে যুক্ত করার আবেদনও করা হয়েছে। আদালতে আরও জানান হয়েছে, সময়ের কারণে অভিযোগ শুনতে পারেনি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের বিশেষ দল। এদিকে, এখনো পর্যন্ত অভিযোগে নিচ্ছে না স্থানীয় পুলিশ। ধর্ষণের অভিযোগকে শ্লীলতাহানি বলে প্রমাণ করতে চাইছে পুলিশ। কলকাতার পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়ঙ্কর বলে অভিযোগ মামলাকারীর। সেই প্রেক্ষিতেই প্রত্যেককে মামলায় যুক্ত করার আবেদন। পাশাপাশি এই শ্লীলতাহানির অভিযোগগুলির তদন্তভার যেন সিবিআইকে দেওয়া হয় সেই আবেদনও করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- NHRC-এর সুপারিশে স্বীকৃতি, ভোট পরবর্তী অশান্তি মামলায় CBI তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টে
ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সুপারিশকে মান্যতা দিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের ৫ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ৷ বলা হয়েছিল, খুন, অস্বাভাবিক মৃত্যু ও ধর্ষণের মতো গুরুতর অভিযোগের তদন্ত করবে কেন্দ্রীয় তন্তকারী সংস্থা৷ অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগের তদন্তে গঠন করা হয়েছে সিট৷ ৬ সপ্তাহ পর রিপোর্ট দেবে সিবিআই ও সিট৷ সেই সঙ্গে অবিলম্বে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে৷ এই মামলায় নতুন ডিভিশন বঞ্চ গঠন করা হবে বলেও রায় দেওয়া হয়েছে৷ এতেই প্রথম থেকে অসন্তুষ্ট ছিল রাজ্য সরকার। তাই তাঁরা দেশের সর্বোচ্চ আদালতের দারস্থ হচ্ছে।
আরও পড়ুন- বাংলায় নির্বাচনের রণকৌশলই ভুল ছিল! মানতে ‘বাধ্য’ হল বিজেপি
রায় ঘোষণার পর রাজ্য সরকারের তরফে স্বাভাবিকভাবেই অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়। সাংসদ সৌগত রায় স্পষ্ট বলেছিলেন যে তিনি অখুশি। তাঁর কথা ছিল, জনগণের আদালতে হেরে গিয়ে বিজেপি হাই কোর্টের আশ্রয় নিয়েছে৷ আর রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা দেখার কোনও এক্তিয়ারই নেই জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের৷ কিন্তু হাইকোর্ট জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে দায়িত্ব দিয়েছিল৷ অথচ দেখা গিয়েছে এনএইচআরসি-র টিমে এমন সদস্যও ছিলেন যাঁরা আগে বিজেপি করতেন৷ রাজ্যের তরফে বারবার বলা হয়েছিল যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের বিশেষ টিম পক্ষপাতদুষ্ট৷ রাজ্য পুলিশের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা না বলেই মন গড়া রিপোর্ট দিয়েছেন তাঁরা৷ আর সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই কলকাতা হাইকোর্ট রায় দান করেছে৷ সে কারণেই আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছিল রাজ্য আগেই৷