কলকাতা: আপাতত জেলেই আনিসুর রহমান৷ সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দিল না প্রাধন বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ৷ ফলে জেল মুক্তির কোনও সম্ভাবনা নেই আনিসুরের৷
আরও পড়ুন- নন্দীগ্রাম দিবসে নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ! সিদ্ধান্ত তৃণমূলের
পাঁশকুড়া তৃণমূল নেতা খুনে অভিযুক্ত আনিসুর রহমান৷ তাঁর বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য সরকার৷ কিন্তু সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য আনিসুর রহমানের জেলমুক্তির উপর স্থগিতাদেশ জারি করেন৷ যার জেরে জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরেও তাঁকে ফের জেলে যেতে হয়৷ সিঙ্গেল বেঞ্চের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই ডিভিশন বেঞ্চ গিয়েছিলেন আনিসুর রহমান৷ যদিও প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ জারি করল না৷ ফলে ডিভিশন বেঞ্চেও বিশেষ সুবিধা পেল না আনিসুর রহমান৷
কয়েকদিন আগে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সিভি রাধাকৃষ্ণণ জানিয়েছিলেন যাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা বা জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানায় রয়েছে, সেরকম একজন অপরাধীর বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়াটাই জঘন্য অপরাধ৷ কী ভাবে বিজ্ঞপ্তি জারি করে মামলা প্রত্যাহার করে নিতে চাইছে রাজ্য সরকার?
কুরবান শা হত্যা মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত আনিসুর রহমান৷ রাজ্য সরকারের বিজ্ঞপ্তিতে তিনি জেল থেকে ছাড়া পেলেও, সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশ তাঁকে ফের গ্রেফতার করে জেলে ভরা হয়৷ আজ প্রধানবিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি হয়৷ সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়ই বহাল রাখলেন তিনি৷
আরও পড়ুন- ‘বিজেপিকে যেন কেউ একটিও ভোট না দেয়’, দাবি সংযুক্ত কৃষাণ মোর্চার
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে দুর্গাপুজোর অষ্টমীর রাতে পাঁশকুড়ার মাইশোরায় দলীয় কার্যালয়ে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন তৃণমূলের পাঁশকুড়া ব্লক কার্যকরী সভাপতি কুরবান শা। ওই ঘটনায় বিজেপি নেতা আনিসুর রহমান-সহ ৮ জন বর্তমানে জেলবন্দি। গত মঙ্গলবার খুনের মামলায় জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার দেড় ঘণ্টার মধ্যে হাইকোর্টের নির্দেশে ফেরে নিসুর রহমানকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ কোলাঘাট থেকে গ্রেফতার করা হয় আনিসুরকে৷ শারীরিক অসুস্থতার জেরে তাঁকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল তমলুক আদালত৷ সেই নির্দেশ খারিজ করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট৷
এদিকে দলায় নেতা খুনের মামলা তুলে নেওয়ার পিছনে তৃণমূল সরকারের অন্য সমীকরণ দেখছে রাজনৈচিক মহল৷ আসন্ন বিধানসভা ভোটের মুখে এটি একটি নির্বাচনী অঙ্ক৷ মনে করা হচ্ছে, বিজেপি নেতা আনিসুরকে জেলের বাইরে এনে ভোটে ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে রাজ্য সরকার৷